পুরসভা সূত্রে খবর, প্রতিটি ফুড জোনে ১৬টি করে দোকান থাকবে। টালা পার্ক এবং পাটুলিতে ফুড জোন তৈরির কাজ প্রায় শেষ। মঙ্গলবার টালা পার্ক চত্বরে গিয়ে দেখা গেল, ফুটপাথে বসানো হয়েছে নতুন পেভার ব্লক। উল্টো দিকে বসার জন্যে তৈরি বেঞ্চ। স্টল তৈরির কাজও শেষের দিকে। বসবে বেসিন, বায়ো টয়লেট। পুরো তল্লাট সাজানো হবে নানা রঙের আলোয়।
পুরকর্তারা জানাচ্ছেন, শহরের নামজাদা রেস্তোরাঁ থেকে অর্ধেক দামে খাবার মিলবে এই ফুড জোনে। পাওয়া যাবে বিরিয়ানি, চাউমিন, রোল, ফ্রায়েড রাইস, মোমো, ধোসা, ইডলি, চা-কফি, মশলা-মুড়ি। দোকানিদের দেওয়া হবে ট্রেনিং। খাবারের মান ঠিক কিনা, তা যাচাইয়ে প্রতি মাসে সারপ্রাইজ ভিজিটে যাবেন পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করলে দোকানির লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
কলকাতার স্ট্রিট ফুডের খাত্যি বিশ্বজুড়ে। কিন্তু শহরের নানা প্রান্তে থাকা অস্থায়ী খাবারের দোকানে নানা সমস্যা পোহাতে হয় ক্রেতাদের। অনেক জায়গাতেই বসা বা দাঁড়ানোর পর্যাপ্ত জায়গা নেই। কোথাও পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। সে কারণেই পৃথক জোন তৈরির সিদ্ধান্ত। এই পরিকল্পনা প্রসঙ্গে মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার বলেন, ‘শহরে নতুন করে প্লাস্টিকযুক্ত স্টল যাতে না হয়, সে জন্যেই এই ধরনের ফুড জোন তৈরি করা হচ্ছে। এক জায়গাতেই নানা ধরনের খাবার মিলবে।’
পুরসভার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন গড়িয়াহাটের হকার সংগ্রাম কমিটির নেতা দেবরাজ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এই পদক্ষেপের ফলে অনেক বেকার ছেলের কর্মসংস্থান হবে। আমরা সব রকম সহযোগিতায় প্রস্তুত।’