প্রায় ৪ কোটি টাকা খরচ করে নতুন ক্লাসরুম, রাস্তা, নিকাশি নালা নির্মাণের পাশাপাশি পুরোনো বিল্ডিং সংস্কারের কাজ শুরু হয়। এ সব কাজেরই বরাত দেওয়া নিয়ে অনিয়ম হয়েছে বলে ক্যাগের অডিটে ইঙ্গিত মিলেছে। সূত্রের খবর, মোট তিনটি ঠিকাদার সংস্থাকে ওই কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সরকারি গাইডলাইন মেনে ঠিক পদ্ধতিতে টেন্ডার না ডেকেই ওই তিনটি সংস্থাকে কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপককুমার রায় বলেন, ‘তখন বিশ্ববিদ্যালয় একেবারেই গ্রোয়িং স্টেজে ছিল। এই স্টেজে একটা ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন কাজে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। ক্যাগের অডিট টিম সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখার পর আমাকে জানিয়েছে, অডিটে তাঁদের নজরে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। আমিও দেখেছি, বেশ কয়েকটি টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অসঙ্গতি রয়েছে।
নিউজ পেপারে বিজ্ঞাপন দেওয়া সমেত অন্যান্য পদ্ধতি মানা হলেও হয়তো কোথাও সরকারি নির্দেশ মেনে ঠিক ভাবে টেন্ডার করা হয়নি। তবে ক্যাগের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়। মাস দুয়েক পর ক্যাগের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেলে তা দেখে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।’