বৈঠক করার পর রাজ্য থেকে আসা স্বাস্থ্য প্রতিনিধিরা চলে আসে কালিয়াচকের ওই শিশুর বাড়ি। সেখানে পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয় এবং সমস্ত বিষয়ে সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা। রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা দীপঙ্কর মাঝি জানান, শিশুটি কী অবস্থায় রয়েছে, সেটাই খতিয়ে দেখতে আসা হয়েছিল। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও বিষয় নেই। তবে তাঁদের যে নজরদারি ছিল, সেটি জারি থাকবে। শিশুর পরিবার এবং গ্রামবাসীদের দাবি, বর্তমানে শিশুটি অসুস্থ রয়েছে। প্রতিদিন অক্সিজেন দিয়ে রাখতে হচ্ছে। ঘটনার পর গোটা গ্রামবাসী আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। রাজ্য সরকারের কাছে সাহায্যের দাবি করেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি জ্বর এবং পেটে ব্যথা নিয়ে মালদার কালিয়াচকের চার বছরের এক শিশু লদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেখানে প্রায় এক মাস ধরে চিকিৎসা চলে তাঁর। এরপর তাঁকে কলকাতার নীলরতন সরকার হাসপাতালে পাঠানো হয়। নীলরতন সরকার হাসপাতলে ওই শিশুর সমস্ত ধরনের পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরপর ওই শিশুর রক্তের স্যাম্পেল পাঠানো হয় পুণেতে। পুণের রিপোর্ট রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের হাতে এসে পৌঁছলে জানা যায়, সেই শিশুর শরীরে H9N2 ভাইরাস রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জেলাশাসক নীতীন সিংহানিয়া, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য এবং প্রশাসনিক আধিকারিকরা গতকালই বিষয়টি নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। এর মাঝেই শিশুর পরিবারে মোট ১৪ জন সদস্যকেই পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের শরীরে নতুন করে ভাইরাস পাওয়া যায়নি।