তিলক কেটে আসা যাবে না, মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ উচ্চতর বালিকা বিদ্যালয়ে এমনটাই ফতোয়া জারি হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক হইচই পড়ে গিয়েছে স্কুলের পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে। এই ফতোয়া প্রত্যাহারেরও দাবি জানান অভিভাবকরা। যদিও এই সরকারিভাবে এমন কোনও বিধি নিষেধ নেই বলেই জানাচ্ছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল।

ঠিক কি অভিযোগ?

অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী বলে, ‘গরমের ছুটির আগে বলা হয়েছিল তিলক কেটে স্কুলে আসা যাবে না। গরমের ছুটির পর স্কুলে এসেছি, ম্যাডাম বললেন বারণ করার পরেও কেন তিলক কেটে স্কুলে এসেছিস? আমি বললাম, বাবা মা বলেছেন, তাই তিলক কেটে এসেছি। ম্যাডামকে বললাম, তিলক কেটে যে স্কুলে আসা যাবে না, সেটা লিখিতিভাবে সই করে দিন। ম্যাডাম সই করে দেননি। আমায় অনেক কথা বললেন। ভয়ে আমার হাত পা কাঁপছিল।’ শিক্ষিকার চোখে লাগে, সেই কারণেই তাকে তিলক কাটতে বারণ করা হয়েছে বলে দাবি ওই ছাত্রীর। ওই ছাত্রী আরও বলে, ‘এখানে সবাইকে মিড ডে মিল খেতে বলা হয়েছে। কিন্তু নিরামিষ খাবার হয় না, তাই আমি খাই না।’

বিক্ষোভ অভিভাবকদের

বিষয়টি জানাজানি হতেই, রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবকরা। স্কুলের সামনে খোল করতাল বাজিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয় অভিভাবকদের একাংশ। দফায় দফায় বিক্ষোভ ও স্লোগান দেন তাঁরা। অবিলম্বে এই ধরনের নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবিও জানান হয়। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।

কী বলছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা?

এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা করবী নন্দী বলেন, ‘বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা নাকি ওই ছাত্রীকে তিলক পরে আসতে নিষেধ করেছিলেন। কেউ নিজের ধর্ম পালন করতে পারবে না, এমন কোনও নিয়ম নেই। এমন কেউ বারণ করেছে বলে আমার মনেও হয় না।’ অন্যদিকে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীল বলেন, ‘এরকম কোনও সরকারি বিধি নিষেধ নেই। কেউ তিলক পরে আসতেই পারে। তাতে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও আপত্তি থাকার কথা নয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে কথা বলছি।’

এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়াদের মধ্যেও। এই ধরনের ঘটনায় পড়ুয়াদের মনে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অভিভাবক অভিভাবিকাদের অনেকেই।





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version