জল-জঙ্গল, কলকাতার আশেপাশে খুঁজছেন এমন ভ্রমণ ডেস্টিনেশন? তাহলে ঘুরে আসতে পারেন কংসাবতী ও কুমারী নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত মুকুটমণিপুরে। টলটলে জলে ছোটো ছোটো ঢেউ, তারই মাঝে ভেসে বেড়ায় নৌকা। বোটিং করার জন্য মাঝিদের আমন্ত্রণ উপেক্ষা করতে পারবেন না। শহুরে জীবন থেকে খানিক ছুটি নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার অন্যতম ডেস্টিনেশন হতে পারে মুকুটমণিপুর।

কী ভাবে পৌঁছবেন?

কলকাতা থেকে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত মুকুটমণিপুর। ‘রাঢ়বঙ্গের রানি’ নামে পরিচিত এই জায়গা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের দিক দিয়ে কোনও অংশে তা কম নয়। জলাধারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে মুকুটমণিপুর পর্যটন কেন্দ্র। এখানে দক্ষিণে কংসাবতী ও কুমারী নদী মিলিত হয়েছে। আর মুকুটমণিপুর জলাধারের চারপাশে ছোট্ট ছোট্ট টিলা রয়েছে।কলকাতা থেকে সরাসরি গাড়ি নিয়ে সাড়ে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টায় পৌঁছনো যাবে মুকুটমণিপুর। অথবা ধর্মতলা বা করুণাময়ী থেকে সরকারি বাসে বাঁকুড়ায় যাওয়া যাবে। বা হাওড়া থেকে ট্রেনে করে পৌঁছনো যাবে বাঁকুড়াতে। সেখান থেকে মাত্র ৫৫ কিলোমাটার বেসরকারি বাসে অথবা গাড়ি ভাড়া করে অনায়াসে যেতে পারেন মুকুটমণিপুর।

মুকুটমণিপুর জলাধারের পাড় ধরে হেঁটে গেলে পৌঁছে যাওয়া যাবে পরেশনাথ পাহাড়ে। ভ্যানে চড়েও সেখানে যেতে পারবেন। সেখানে পরেশনাথ শিব মন্দির রয়েছে। পাহাড়ের উপরে জলাধারকে উপভোগ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে মুসাফিরানা ভিউ পয়েন্ট। আর নৌকা বিহার করে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গিয়ে দেখা যাবে হরিণ, রয়েছে বনপুকুরিয়া ডিয়ার পার্ক।

দু’দিন হাতে সময় নিয়ে মুকুটমণিপুর গেলে এই সব জায়গার সৌন্দর্য্য উপভোগ করা সম্ভব। ইচ্ছে হলে ঘুরে আসা যাবে ঝিলিমিলি ও সুতানের জঙ্গল। মুকুটমণিপুর থেকে প্রায় ৩৫ এবং ৪৫ কিলোমিটার দূরে তা অবস্থিত। ঘন শাল-পিয়ালে ঘেরা জঙ্গল। ঝিলিমিলির কাছেই রয়েছে তালবেরিয়া জলাধার। চাইলে সময় কাটানো যাবে সেখানেও। মুকুটমণিপুরের মাত্র তিন কিলোমিচারের মধ্যেই মা অম্বিকা দেবী দর্শন করা সম্ভব। অম্বিকানগর গ্রামে পুরাতন রাজবাড়ি দেখা সম্ভব।

কোথায় থাকবেন?

মুকুটমণিপুরে বনদফতরের গেস্ট হাউস, যুব দফতরের গেস্ট হাউস, কংসাবতীর গেস্ট হাউস রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে সরকারি হোটেল বা লজ। সরকারি গেস্ট হাউজগুলি বুক করতে পারবেন অনলাইনে। সেখানে এসি ডবল বেডের রুম ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা, ট্রিপিল বেড রুম ৩০০০ থেকে সাড়ে তিন হাজার মধ্যে পাওয়া সম্ভব।





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version