খড়গপুর আইআইটি-তে অসমের ছাত্র ফয়জান আহমেদের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে তদন্ত চলছেই। এরই মধ্যে ফের অঘটন এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সোমবার সকালে আইআইটি খড়্গপুরে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সকালে সরোজিনী নাইডু ও ইন্দিরা গান্ধী হলে থাকা পড়ুয়ারা ওই ছাত্রীর দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আইআইটি খড়গপুর কর্তৃপক্ষ।জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম দেবিকা পিল্লাই। তাঁর বাড়ি কেরালার চিপ্পড় থানার উত্তর এভুর এলাকায়। তিনি বায়োটেকনোলজি ও বায়ো কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বি টেক চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

তাঁর সহপাঠীরা জানাচ্ছেন, কয়েকদিন আগেই ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। বাড়ি থেকে ফেরার পরেই এই দুর্ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। কী কারণে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালে ১৪ অক্টোবর খড়গপুর আইআইটির ছাত্র ফয়জান আহমেদের দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলাও করা হয় কলকাতা হাইকোর্টের তরফে। এরপর আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ফয়জানের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। ফয়জানের মা রেহানা আহমেদ দাবি করেছিলেন, ‘আমরা বলে আসছি যে আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। কী ভাবে খড়গপুরের মতো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন ছাত্র ক্যাম্পাসের মধ্যে বন্দুক বা ছুরি নিয়ে যেতে পারে? প্রথম থেকেই এই ঘটনা ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল।’ তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে ছেলের মৃত্যুর সুবিচার চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন।

এই ঘটনায় স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ফয়জানের মৃত্যুর ঘটনার ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা পড়েছে সিটের কাছে। তা জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে।

এদিকে গত বছর অক্টোবর মাসে খড়গপুর আইআইটিতে আরও এক পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে শোরগোল পড়েছিল। ওই ছাত্রর নাম ছিল কে কিরণ চন্দ্র। তিনি আইআইটি-র ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া ছিলেন। তাঁর বাড়ি তেলঙ্গানার মেড়াক জেলার তুপরান গ্রামে। ওই ছাত্র খড়গপুরের আইআইটি ক্যাম্পাসের লালবাহাদুর শাস্ত্রী হলে থাকতেন। রাতে তাঁর ঝুলন্ত দেহ নজরে আসে সহপাঠীদের। ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় বি সি রায় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version