৬০০ মিমি ব্যাসের এই পাইপ লাইনের একাধিক জায়গা ফেটে গিয়েছে। রেলের ধারণা, ওই পাইপ ফাটিয়ে জল বার করে নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে যতটা পরিমাণ জল পাইপ লাইনে পাঠানো হচ্ছিল তার ৭০ ভাগ এসে পৌঁছচ্ছিল না চিত্তরঞ্জনে। এরসঙ্গে বিকল হয়েছে সিদাবাড়ির পাম্পটিও। শনিবার থেকে মেরামতির কাজও শুরু হয়েছে।
বলেন, ‘আমরা দাবি জানিয়েছিলাম, অন্তত রবিবার দুপুরের মধ্যে জল আসার ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যাতেও এরিয়া ফাইভ ও সিক্সের মতো বহু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ভাবে বেশ কিছু রাস্তার আবাসনে জল আসেনি।’ শেষে রাত সাড়ে পৌনে ৯টা নাগাদ জল আসে ওই এলাকাগুলোয়।
চিফ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের কাছে সিটুর প্রস্তাব, চিত্তরঞ্জন লাগোয়া অজয় অথবা শহরের একাধিক বড় জলাশয়ের জল জরুরি ভিত্তিতে পরিস্রুত করে রেলের আবাসনগুলোয় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া প্রস্তুত রাখতে হবে অন্তত দু’টি জলের ট্যাঙ্কার। চিত্তরঞ্জনে আরও দু’টি নতুন জলাধার তৈরির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিপর্যয় বা পাইপ লাইন মেরামতির কারণে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হলে আগে থেকে শহরে মাইকে প্রচার করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে বাসিন্দারা আগেই জল ধরে রাখতে পারবেন। রেলের তরফে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, বেহাল জল এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে আজ সোমবার আইএনটিইউসি আন্দোলনে নামবে।
অন্য দিকে, এদিন জলের দাবিতে রাস্তায় নামেন কুলটি পুর এলাকার বাসিন্দারা। সকালে বরাকর বাস স্ট্যান্ডের কাছে জিটি রোড অবরোধ করেন স্থানীয়রা। প্রতিবাদীদের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকা না থাকলেও ছিলেন কুলটির বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দার। বিক্ষোভের জেরে আসানসোল-বরাকরমুখী রাস্তায় বন্ধ হয়ে যায় বাস, মিনিবাস, গাড়ি চলাচল। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় কুলটি থানা ও বরাকর ফাঁড়ির ট্র্যাফিক গার্ডের পুলিশ।