উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শরীরের একাধিক জখম ছিল শিশুটির। তাঁকে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়েছিল। তাঁর শারীরিক অবস্থার উপর সর্বক্ষণের জন্য নজরদারি চালিয়ে গিয়েছে একটি মেডিক্যাল টিম। আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন চিকিৎসকরা। তবে, মঙ্গলবার সকালে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ স্বাস্থ্যকর্তা চিকিৎসক সন্দীপ সেন জানান, বাচ্চাটির পায়ে গুরুতর আঘাত ছিল। পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রচুর ক্ষত ছিল। অনেকটাই রক্তক্ষরণ হয়েছে। পিকুতে ভর্তি ছিল সে। কিন্তু, আজ সকালে তাঁকে হারালাম আমরা।
ঘটনাস্থলে রাতে আপ লাইনে মালগাড়ির ট্রায়াল রান করা হয়। সেটা শেষ হওয়ার পর সোমবার রাত ১২টার পর আপ লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে৷ ডাউন লাইনের মেরামতির কাজ চলছে। সকালে আপ লাইন ধরে খুব ধীর গতিতে কামাখ্যা গান্ধীধাম এক্সপ্রেসকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকেই ডাউন লাইনেও ট্রেন চলাচল শুরু করে দেওয়া হবে।
গতকালই রেলের তরফে নয় জনের মৃত্যু সংবাদের কথা জানানো হয়েছিল। এর মধ্যে একজনের শরীরের একটি অংশ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর পরিচয় সম্বন্ধে কিছুই জানা যায়নি। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১। মৃত শিশুটির বাবা, মা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গিয়েছে। শিশুটির পরিবার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালদায় বাড়ি ফিরছিলেন বলে খবর। এদিকে, রেলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, ১৩১৭৪ ডাউন আগরতলা থেকে শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস আহতের সংখ্যা মোট ৪৪ জন। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ২৩ জন বাসিন্দা রয়েছেন।
সোমবার রাতেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি। উল্লেখ্য, সোমবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ফাঁসিদেওয়ার শিয়ালদামুখী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়ি। দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে যায় এই দুর্ঘটনায়।