বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের চকচকায় অনন্ত মহারাজের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। কথাও হয় উভয়ের মধ্যে।এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছতেই নিজে তাঁকে স্বাগত জানাতে আসেন অনন্ত মহারাজ। কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী হলুদ গামছা, পান ও সুপারি দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকে স্বাগত জানান হয় ভিতরে। উভয়ের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়। পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে অনন্ত মহারাজ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়েছেন।’

এদিন নাম না করে বিজেপির স্থানীয় তথা জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনন্ত মহারাজ। তিনি বলেন, ‘আমাকে বিজেপি রাজ্যসভার সাংসদ করে পাঠিয়েছে। যেহেতু আমি পদ গ্রহণ করেছি, তাই ৫ বছর থাকব। এরপরের কথা আমি জানি না।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অনন্ত মহারাজ আরও বলেন, ‘আমি দল (বিজেপি) করি না। আমি দি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন করি। আমি দি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সংগঠন করি, বিজেপির সাংসদ হয়েছি। আজ পর্যন্ত আমায় কোচবিহারে বিজেপির অফিসে পর্যন্ত দেখা যায়নি। আমি যে বিজেপির একজন সদস্য, আজ পর্যন্ত তাদের কোনও নেতা বলেনি। সেন্ট্রাল টিম এল, তারাও বলছে না। আমাকে মানেই না ওরা। তাহলে আমি কী করব?’

রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করে অনন্ত মহারাজকে বলতে শোনা যায়, ‘এরা (বিজেপি জেলা নেতৃত্ব) আমায় কী সম্মান দেবে? সম্মান দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমতি শাহ। সম্মান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, আমার সঙ্গে কোচবিহারে দেখা করেছেন। আমার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এরা (বিজেপি জেলা নেতৃত্ব) কেন ডাকছে না, কেন উলটো পালটা বলছে, আমি জানি না।’

এদিন অনন্ত মহারাজের জন্য উপহার হিসেবে শাল নিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনন্ত মহারাজের বাড়িতে শুধুমাত্র গ্রিন টি খেয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বংশের কাহিনি জানতে চেয়েছেন বলেও জানান অনন্ত মহারাজ। তবে রাজনৈতিক কোনও আলোচনা হয়নি বলেই দাবি করেন তিনি। এদিনের সাক্ষাৎ শুধুমাত্রই সৌজন্যমূলক বলে জানান অনন্ত মহারাজ। তবে নিজের সাংসদ তহবিলের টাকা তিনি খরচ করতে পারছেন না বলে এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন তিনি। জেলার ডিএম বা এসপি তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি বলেও দাবি অনন্তর। তবে তিনি কোনও রাজনৈতিক দলে নেই বলে এদিন স্পষ্ট করে দেনে অনন্ত মহারাজ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version