আতঙ্কের যাত্রার সমাপ্তি হল প্রায় ভোররাতে। ভোর ৩টে ১৬ মিনিটে শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাতভরই স্টেশনে উপস্থিত থাকলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এছাড়াও ছিলেন শিয়ালদার ডিআরএম দীপক নিগম সহ রেলের অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। গোটা যাত্রাপথেই যাত্রীদের জন্য খাবার, জল সহ প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থাপনা করা হয় রেলের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে ট্রেনের যাত্রীরা যাতে শিয়ালদায় নামার পর নিশ্চিন্তে ও নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছতে পারেন, তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ৬০টি ছোট গাড়ি, বাস, অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও রাখা হয়।শিয়ালদা স্টেশনে নামার পরেও যাত্রীদের কারও কারও চোখেমুখে লেগে থাকতে দেখা যায় আতঙ্কে ছাপ। কেউ কেউ আবার অবশেষে অভিশপ্ত ট্রেন থেকে নামতে পেরে স্বস্তিতে। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন ফিরহাদ হাকিম ও স্নেহাশিস চক্রবর্তী। অনেককেই ট্রেন থেকে নামার পর কান্নায় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। এক যাত্রীকে রীতিমতো ফিরহাদ হাকিমেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদকে দেখা যায়। তাঁকে শান্তনাও দেন কলকাতার মেয়র। অন্যদিকে যাত্রীদের জন্য শিয়ালদা স্টেশনেও জল ও খাবারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা হয়। এক মহিলা যাত্রী জানান, তাঁর মেয়ে টেবিল টেনিস খেলে। তাকে নিয়েই শিলিগুড়িতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথেই এই বিপত্তি। তবে দুর্ঘটনার পরে সমস্ত ধরনের সহযোগিতা পেয়েছেন। খাওয়াদাওয়া থেকে জল, কোনও কিছুরই সমস্যা হয়নি বলেই জানান ওই মহিলা।
দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও এই ঘটনার জন্য রেলকেই নিশানা করেন। মেয়র বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন। যাঁরা গুরুতর আহত, রাজ্য সরকারের তরফে উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। যাঁরা ফিরে আসছেন, তাঁদের জন্য এখানে হেল্প ডেস্ক করা হয়েছে। গোটা পরিবহণ দফতর এখানে রয়েছে, পরিবহণমন্ত্রী রয়েছেন। যাঁরা ফিরে আসছেন, তাঁদের সুষ্ঠুভাবে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেলের অপদার্থতাতেই এতট ভুগেছেন যাত্রীরা। তাই তাঁরা যাতে সুষ্ঠুভাবে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেই উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিয়েছে।’
দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও এই ঘটনার জন্য রেলকেই নিশানা করেন। মেয়র বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন। যাঁরা গুরুতর আহত, রাজ্য সরকারের তরফে উত্তরবঙ্গে মেডিক্যাল কলেজে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। যাঁরা ফিরে আসছেন, তাঁদের জন্য এখানে হেল্প ডেস্ক করা হয়েছে। গোটা পরিবহণ দফতর এখানে রয়েছে, পরিবহণমন্ত্রী রয়েছেন। যাঁরা ফিরে আসছেন, তাঁদের সুষ্ঠুভাবে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রেলের অপদার্থতাতেই এতট ভুগেছেন যাত্রীরা। তাই তাঁরা যাতে সুষ্ঠুভাবে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেই উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ সরকার নিয়েছে।’
পরে মেয়র আরও বলেন, ‘মানুষের অভিজ্ঞতা খুবই মর্মান্তিক। কেউ ৩ দিন ধরে, কেউ ২ দিন ধরে ট্রেনে আসছেন। তার মধ্যেই মৃত্যু ফাঁদ। কারও কারও ঝাঁকুনির কারণে চোট লেগেছে, তাঁদের এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা হল। আমাদের যেটুকু করার করছি। কিন্তু ভারতীয় রেলের কী হবে সেটা বড়সড় প্রশ্নচিহ্নের মুখে রয়েছে।’ এদিন মেয়র জানান, ট্রেনকে তিনি নিজেও নিরাপদ মনে করছেন না। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি নিজে বন্দে ভারতে মালদা, বোলপুর যাই। এখন মনে হচ্ছে আরও একটু বীমা বাড়িয়ে যেতে হবে, কারণ ফিরব কি না কোনও ঠিক নেই।’