লোকসভা নির্বাচনে ‘অনুব্রত গড়’ বীরভূমে একচেটিয়া দাপট ধরে রাখতে পেরেছে তৃণমূল। জেলার দুটি লোকসভা-বোলপুর এবং বীরভূমে জয়ী হয়েছেন রাজ্যের শাসক দলের প্রার্থীরা। এদিকে ভোট মিটতেই বুথে বুথে কেমন ফলাফল হয়েছে, তা নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করেছে দল।এবার নানুরে দাসকলগ্রাম ১ নং-এর অঞ্চল সভাপতি প্রভাত দাস ও কীর্ণাহার‌ ১ নং অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি ইন্দ্রজিৎ দাসকে দায়িত্ব থেকে ‘অব্যাহতি’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির অন্যতম সদস্য কাজল শেখ। বুধবার নানুরের কীর্ণাহারের কল্লোল ভবনে একটি কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। সেখান থেকেই ওই‌ দুই অঞ্চল সভাপতিকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, দাসকলগ্রাম ১ নং অঞ্চলে তৃণমূল ৩৮১৩ ভোটে এবং কীর্ণাহার ১ নং অঞ্চলে ৪০৩৮ ভোটে পিছিয়ে ছিল।

এই নিয়ে ঠিক কী বলেছেন কাজল শেখ?

কাজল শেখ এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আপাতত এই দুই জনকে তাঁদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে নিয়ে অঞ্চলের প্রতিটি বুথে বুথে আমরা যাব। কেন এই ফলাফল তা নিয়ে পর্যালোচনা করব। তারপর ওই দুই পদের দায়িত্ব কারা পাবেন, তা ঠিক করা হবে।’

বীরভূমে আপাতত অনুব্রত মণ্ডল অনুপস্থিত। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনের আগে বীরভূম জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে করা বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন, যে ভাবে অনুব্রত মণ্ডল জেলায় দল সামলাতেন, সেই একইভাবে দল চালাতে হবে।

এদিকে ভোটের আগে বীরভূমের দলীয় কোর কমিটিতে স্থান পেয়েছিলেন কাজল শেখ। বীরভূমের তারাপীঠে জনসভা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই তিনি কোর কমিটিতে কাজল শেখকে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কোর কমিটির পাশাপাশি তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্বের কড়া নজর ছিল বীরভূমে। সেখানে প্রচারে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম জেলায় ভালো ফলাফল করেছে তৃণমূল। শতাব্দী রায় ফের একবার জয়ী হয়েছেন বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে। জয়ের পর তিনি জানিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাবেন তিনি। অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহাকে হারিয়ে বোলপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল। সবমিলিয়ে গত লোকসভা নির্বাচনে ‘কেষ্ট গড়’-এ রীতিমতো সবুজ ঝড় ওঠে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version