আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শুক্রবার দিনভর বৃষ্টিপাত চলবে এই সমস্ত এলাকাতে। উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাত হলেও দক্ষিণবঙ্গ দীর্ঘদিন ধরেই গরমে ভুগছিল। অবশেষে গরমের হাত থেকে মিলেছে মুক্তি। অন্যদিকে, সমুদ্র উত্তাল থাকার কারণে প্রথমে পর্যটকদের সমুদ্র স্নানে নিষেধ করা হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পরে আবহাওয়ার উন্নতির পর পর্যটকদের সমুদ্রে নামার অনুমতি দেওয়া হয়। মনোরম আবহাওয়ায় সমুদ্রস্নানে মেতে ওঠেন পর্যটররা। তবে দিঘা পুলিশ এবং নুলিয়াদের তরফে চালানো হচ্ছে কড়া নজরদারি। এদিকে সপ্তাহের শেষে অনেকেই দিঘা, মন্দারমণি যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। সেক্ষেত্রে কেমন থাকবে আবহাওয়া? কী বলছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর?
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আগামী দুই থেকে তিন দিনে দক্ষিণবঙ্গের কিছু অংশে পৌঁছে যাবে বর্ষা। শনিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবারের পর থেকে ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে। ফের গরম এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতজনিত অস্বস্তি বাড়তে পারে। পরিস্থিতি বর্ষার অনুকূল হলেও এখনই দক্ষিণবঙ্গে নেই ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। বরং বৃষ্টিপাত না হলে আপেক্ষিক আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়বে।
অর্থাৎ সপ্তাহান্তে বৃষ্টিপাত পেতে পারেন পর্যটকরা। তবে ঘোরা হবে নির্বিঘ্নেই। সোমবার থেকে ফের তাপমাত্রা এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতা বাড়তে পারে। সাইক্লোন রিমেলের জন্য প্রভাবিত হয়েছিল দিঘার হোটেল ব্যবসা। সেই সময় পর্যটকদের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। এরপর ধীরে ধীরে ফের ছন্দে ফিরছে দিঘা, মন্দারমণির মতো বাঙালির প্রিয় ডেস্টিনেশনগুলি। তবে দুয়ারে বর্ষা এলেও এখনও পর্যন্ত সেভাবে দিঘায় ভালো ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না, এমনটাই জানাচ্ছেন সেখানকার হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মৎস্যজীবীরা।