স্কুল পড়ুয়ার হাতে পিস্তল! না কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়। এই ঘটনা মুর্শিদাবাদের রেজিনগর থানার আন্দুলবেড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। ঘটনায় দুই ছাত্রের দিকে উঠেছে অভিযোগ। সেখানে পৌঁছেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে দুই ছাত্রকে। তারা যে পিস্তল ব্যবহার করেছিল তা আসল না নকল, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঠিক কী ঘটেছে?

রেজিনগর থানার আন্দুলবেড়িয়া হাই স্কুলের গেটম্যান দাবি করেছেন, তাঁকে গুলি করার জন্য ওই আগ্নেয়াস্ত্র আনা হয়েছিল। তাঁর দাবি, সাইকেলের সিট খুলে নিয়ে যাওয়ায় কয়েকজন ছাত্রকে তিনি বকাঝকা করেছিলেন। ওই ঘটনার বদলা নিতেই শনিবার দশম শ্রেণির এক ছাত্র গুলি ভর্তি পিস্তল এনে তাঁকে খুন করার কথা বলেছে সহপাঠীদের কাছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য শিক্ষকরা ওই ছাত্রের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নিয়ে পুলিশের খবর দেন।

ঘটনাস্থলের রেজিনগর থানার পুলিশ পৌঁছে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করে। ওই ছাত্রের দাবি, সে রাস্তার মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্রটি কুড়িয়ে পেয়েছিল এবং তা বন্ধুদের দেখানোর জন্য নিয়ে এসেছিল স্কুলে। এরপরেই তা জানাজানি হয়। কারও ক্ষতি করার কোনও উদ্দেশ্য তার ছিল না বলেই দাবি। এদিকে ঠিক কী কারণে ওই ছাত্র স্কুলে বন্দুক নিয়ে এসেছিল, তা সেই বলতে পারে বলে দাবি প্রধান শিক্ষকের। এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। স্কুল চত্বরে ভিড় করেন প্রচুর মানুষ।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গির আলম বলেন, ‘প্রার্থনা হওয়ার পর দুই জন ছাত্র এসে জানায়, একজন ছাত্রের কাছে বন্দুক রয়েছে। সে সকলকে তা দেখাচ্ছে। আমরা চার পাঁচজন শিক্ষক মিলে গিয়ে তল্লাশি করি। সেই সময় আমরা নবম এবং দশম শ্রেণির ছাত্রদের মধ্যে তল্লাশি চালানো হয়। সেই সময় দশম শ্রেণির এক ছাত্রের থেকে ওই পিস্তলটি পাওয়া যায়।’

স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান, ছাত্রকে কোনও রকম মারধর করা হয়নি। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিকে বিষয়টি জানানো হয়। তারাই পুলিশে খবর দেয়। এদিকে যেই ছাত্রের থেকে পিস্তলটি উদ্ধার হয় তা তার নয় বলেই দাবি করে সে। অপর এক বন্ধুর নাম নেয় ওই ছাত্র। স্কুলের শিক্ষকরা জানান, যে ছাত্রের নাম নিয়েছিল ওই দশম শ্রেণির ছাত্র সে স্বীকার করেছে পিস্তলটি তার। কেন ওই ছাত্রটি স্কুলে পিস্তলটি নিয়ে এসেছিল, তা জানা নেই বলেই জানাচ্ছেন শিক্ষকরা। পুলিশের কাজ পুলিশ করবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রেজিনগর থানার পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version