অন্যদিকে, এবিভিপির অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ও ছাত্ররা কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে হেল্প ডেস্ক খুলে বসে আছে। অথচ দীর্ঘদিন কলেজের নির্বাচন হয়নি। যেখানে নির্বাচন হয়নি সেখানে কোনও রাজনৈতিক দলের হেল্প ডেক্স বা ফ্যাগ ফেস্টুন থাকবে না কলেজ চত্বরে বলে তাঁদের দাবি। তাঁদের হুঁশিয়ারি, তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের ছাত্ররা যদি হেল্প ডেক্স খুলে থাকে, তাহলে এবিভিপির ছাত্ররাও হেল্প ডেস্ক খুলবে কলেজের মধ্যে।
হেল্প ডেস্ক-এর বিষয়টি নিয়েই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক ঝামেলা। ফ্ল্যাগ বাঁধা এবং হেল্প ডেক্স খুলতে গেলে সংঘর্ষ বেধে যায় তৃণমূল ছাত্র সংগঠন ও এবিভিপি’র ছাত্রদের মধ্যে। কলেজের প্রিন্সিপাল-এর কাছে এই অভিযোগ জানাতে যাওয়ার আগে দুই সংগঠনের ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। ব্যাপক উত্তেজনা পরিস্থিতি কলেজ চত্বরে পুলিশকে খবর করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজের অধ্যক্ষের কাছে এদিন ডেপুটেশন দেন এবিভিপির কর্মীরা।
নন্দীগ্রাম কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি সুমিত মণ্ডল বলেন, ‘এই কলেজে যে কোনও সংগঠনেরই অধিকার আছে রাজনীতি করার। এই কলেজে তাঁরাও সংগঠন চালিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু, আজকে এবিভিপির কর্মীরা এল, নাকি কিছু দুষ্কৃতীরা এল সেটা বোঝা গেল না। এঁদের মধ্যে কয়জন কলেজের ছাত্র ছিল? বাইরে থেকে ছেলেদের ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছে।’ এবিভিপি নামে কোনও ছাত্র সংগঠন আদৌ নেই, বিষয়টি নিয়ে জোর করে তাঁরা কলেজে সংগঠন করতে চাইছে বাইরের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এসে বলে দাবি করে টিএমসিপি। যদিও, এই বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।