বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হবে। হুঁশিয়ারি দিয়ে এসএমএস আসে মোবাইলে। এই একটি এসএমএস আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁর কাছে এই এসএমএস আসে, তিনি বুঝতেও পারেননি এর পেছনেই রয়েছে বিশাল প্রতারণার চক্র। ফাঁদে পা দিয়ে সেই ব্যক্তি খোয়ালেন ২৮ লাখ টাকা।শহর কলকাতায় এবার সাইবার প্রতারণার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল উত্তর প্রদেশের দুই বাসিন্দাকে। গড়িয়াহাট থানায় এক ব্যক্তি আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগে সেই ব্যক্তি জানান, তাঁর কাছে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে একটি এসএমএস এসেছিল। যে এসএমএসে দেওয়া হয় একটি ওয়েব লিঙ্ক। সেই লিঙ্কে ক্লিক করতেই তাঁর ব্যাঙ্ক থেকে ২৮ লাখ ২২ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়।

ঘটনায় তদন্ত নেমে শিবম পাণ্ডে এবং অভিষেক পাণ্ডে নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জনেই উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের বাসিন্দা। শিবম পাণ্ডেকে তার বাড়ি গোরখপুরে থেকে ২৩ তারিখ গ্রেফতার করা হয়। তারপরেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সামনে আসে অভিষেক পাণ্ডের নাম। যিনি এই প্রতারণা চক্রের মূল কাণ্ডারী।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিষেক পাণ্ডেই একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। সেই অ্যাকাউন্ট ব্যাবহার করেই এই প্রতারণার ছক চালানো হত। যারা এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের কমিশন দিত অভিষেক পাণ্ডে। শিবম পাণ্ডের সূত্রে ধরেই অভিষেক পাণ্ডেকেও তার বাড়ি গোরখপুর থেকেই গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। এরপরের ট্রানজিট রিমান্ডে তাদেরকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

‘মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ থেকে বলছি’, ফোনে হুমকি ভুয়ো পুলিশের, নয়া প্রতারণা সল্টলেকে
বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে এই ধরণের প্রতারণার ঘটনা যদিও নতুন নয়। এর আগেও এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে কলকাতা সহ শহরতলি এলাকাতেও। কলকাতায় সিইএসসির নাম করে এই ধরণের ভুয়ো এসএমএস পাঠানো হয়ে থাকে। সেখানে একটি নির্দিষ্ট পেইমেন্ট না করলে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হবে, এই ধরণের ভুয়ো এসএমএস পাঠানো হয়ে থাকে। অনেকেই আতঙ্কের বশে ভুয়ো ওয়েব লিঙ্কে ক্লিক করে ফেলেন। এমনকি, ফোন করেও একটি নির্দিষ্ট রিমোট অ্যাপ ডাউনলোড করিয়েও আর্থিক প্রতারণা করা হয়। যদিও, কলকাতা পুলিশের তরফে এই ধরনের যে কোনও ওয়েব লিঙ্ক, হোয়াটসঅ্যাপ বা এসএমএস-এ গুরুত্ব না দেওয়ার কথা বারংবার জানানো হয় পুলিশের তরফে। এরপরেও বেশ কিছু সাইবার অপরাধের ঘটনা ঘটেই চলেছে শহরে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version