বারুইপুরে তরুণীকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনার এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম অজয় মণ্ডল ও দেবাশিস নস্কর। এরই মাঝে গুরুতর অভিযোগ তুললেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, সন্ধ্যে নামলেই বারুইপুরের মদনপুর এলাকার মদনপুর নিবেদিতা বিদ্যাপিঠের মাঠেই বসত অজয়দের মদ গাঁজার আসর। এমনকী বারণ করলেও কোনও কথা শুনতো না তারা। শুধু তাই নয়, প্রতিবাদ করলে গালিগালাজও করত অজয় ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

‘স্কুলে দুষ্কৃতীদের আড্ডা’

এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমার মেয়ে এই স্কুলের কাছেই পড়তে আসে। সন্ধে হলেই এখানে মদ গাঁজার আসর বসাত ওরা। রাস্তায় কোনও আলো নেই। এখানে আলো দেওয়া খুব প্রয়োজন। এখান দিয়ে ছেলে মেয়েরা পড়ে ফেরে। খুব আতঙ্কে থাকি।’ আরও এক ব্যক্তি বলেন, ‘এটাকে দুষ্কৃতীদের আড্ডা বলা যায়। সন্ধে হলেই স্কুলের মধ্যে ঢুকে গাঁজা মদ খায়। এগুলো প্রশাসনের দেখা উচিত। একটা যে খুন হয়ে গেল, এগুলো তারই ফল। প্রসাশনের কাছে আবেদন এখানে আলোর ব্যবস্থা করা হোক। এই মদ গাঁজার ঠেক বন্ধ করা হোক। স্কুলে গেট লাগানো হোক।’ গোটা ঘটনায় বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তরুণীকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ

উল্লেখ্য, প্রেমিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে অজয় মণ্ডল ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। ২ দিন নিখোঁজ থাকার পর স্থানীয় একটি জলাশয়ে ভেসে ওঠে তরুণীর দেহ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় বারুইপুর থানায় গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই তরুণীর প্রেমিক অজয় মণ্ডল ও তার সাগরেদ দেবাশিস নস্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অজয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তরুণীর

পরিবার সূত্রে খবর, নিহত তরুণী আদতে সোনারপুরে থাকতেন। বারুইপুরে তরুণীর মামারবাড়ি। আর সেই মামারবাড়ি এলাকারই যুবক অজয় মণ্ডলের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ হয় তাঁর। ধীরে ধীরে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত শনিবার সোনারপুরে নিজের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল ওই তরুণীর। কিন্তু তার আগে শুক্রবার রাতেই তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের পর খুন করা হয়ে বলে অভিযোগ। দোষীদের চরম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version