সরকারি সূত্রের খবর, শিয়ালদহ সেতু সংস্কারের জন্য ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ওই টাকায় দু’ধাপে সংস্কারের কাজ হবে। সব মিলিয়ে ওই সেতুতে ৭২টি পিলার রয়েছে। ওই পিলারগুলির গায়ে ‘জ্যাকেট’ পরানো হবে। কী এই জ্যাকেট? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লোহার রডের খাঁচা দিয়ে পিলারের চারপাশ ঢেকে দেওয়া হবে। তারপর কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া হবে।
এতে পিলারগুলি আরও শক্তিশালী হবে। এ ছাড়া সেতুর যে সব অংশে ফাটল রয়েছে, সেখানে ‘কার্বন-র্যাপিং’ও করা হবে। এতে ভাঙা অংশগুলির নতুন করে ক্ষতি আটকানো যাবে। সংস্কারের কাজ শেষ হলে সেতুর ভারবহনের ক্ষমতা বেড়ে হবে ৮৫ টন। প্রথম দু’ধাপে সেতুর নীচের অংশ সংস্কারের কাজ শেষ হওয়ার পর উপরের অংশে পিচের আস্তরণ তুলে ফেলা হবে। নতুন করে তৈরি হবে রাস্তা।
চলতি মাসের ১২ তারিখ শিয়ালদহ সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট জমা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ভিত্তিতেই সেতু সংস্কারের কাজ করা হবে বলে জানাচ্ছে কেএমডিএ। সংস্থার এক কর্তা বলেন, ‘কলতাতার উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে শিয়ালদহ সেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া, এই সেতুর নীচে প্রচুর দোকান যেমন রয়েছে, তেমনই পাশে রয়েছে শিয়ালদহ স্টেশন। প্রচুর মানুষ এই সেতুর নীচ দিয়ে যাতায়াত করেন প্রতিদিন। তাঁদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এই সেতুর সংস্কার জরুরি।’
কলকাতা পুরসভার এক কর্তার বক্তব্য, ‘বাজার কমিটির সঙ্গে আমাদের প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সকলের সুরক্ষার স্বার্থে সহযোগিতা করতে তাঁরা প্রস্তুত। ফলে নির্দিষ্ট সময়েই সেতু সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’