পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের মাথার দু’পাশে দুটো বিনুনি করতে হবে। আর তার চেয়ে বড়দের করতে হবে একটা বিনুনি। সঙ্গে থাকবে গার্ডার। ইউনিফর্মের পাশাপাশি ছাত্রীদের জন্য এমনই কিছু নিয়ম মেনে চলার নির্দেশিকা জারি করল স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি কাঁথির নয়াপুট সুধীর কুমার হাই স্কুলের। শুধু ছাত্রীদের জন্য নয়, ছাত্রদের জন্যও করা হয়েছে নিয়ামবলী। গত সপ্তাহে ছাত্রীদের জন্য পাঁচ দফা নির্দেশাবলী জারি করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের এমন নির্দেশিকার প্রশংসা করেছে বিভিন্নমহল।

গত শনিবার সপ্তম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক ক্লাসের সাতজন করে ছাত্রীর মতামত নেওয়া হয়। তারপর প্রধান শিক্ষক একটি লিখিত নির্দেশিকা জারি করেন। সেই নির্দেশিকা পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত পড়ুয়াদের অভিভাবকদের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মেয়েদের জন্য ৫ দফা এবং ছেলেদের জন্য ২ দফা নির্দেশ দেওয়া হয়।

স্কুলের নির্দেশিকা

নির্দেশিকায় বলা হয়, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীদের দু’পাশে বিনুনি এবং নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের একপাশে বিনুনি আর কালো গার্ডার লাগাতে হবে। প্রয়োজনে সাদা ফিতে ও অপেক্ষাকৃত ছোট চুলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে মার্জিত ক্লিপ। তবে কোনওভাবেই হেয়ার ব্যান্ড ব্যবহার করা কিংবা চুলে ‘লক্স’ করা যাবে না। ইচ্ছা মতো ‘কার্ল’ও করা যাবে না। একই সঙ্গে সামনের দিকে চুলে ‘বব কাট’ রাখা যাবে না। পাশাপাশি পরা যাবে না নেইল পলিশ বা নূপুর। এছাড়া ছাত্র এবং ছাত্রীদের উভয়েই হাতে কোনওরকম ডুরি বাঁধতে বা আংটি-হার পরতে পারবে না। প্রধান শিক্ষকের এই নির্দেশিকাকে ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে পড়ুয়ারা। একইসঙ্গে খুশি পড়ুয়াদের বাবা মায়েরাও। তবে কারও কারও মনে অবশ্য তাবিজ-কবচ বাঁধা যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন ধরনের নজির সৃষ্টি করেছে এই স্কুল। এই নতুন নির্দেশিকায় প্রধান শিক্ষকের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন অভিভাবকদের পাশাপাশি সমাজের নানা স্তরের মানুষজন। সকলেরই বক্তব্য, সময়োপযোগী এই সিদ্ধান্ত। সব স্কুলেই এই ধরনের নিয়ম হওয়া উচিত। এদিকে এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের ডিআই (মাধ্যমিক) শুভাশিস মিত্র বলেন, ‘এই ধরনের নির্দেশিকা সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। তবে পড়ুয়াদের ভালোর জন্য যদি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা কর্তৃপক্ষ কিছু নির্দেশিকা জারি করে তাতে ক্ষতি কোথায়? আমরা চাই স্কুলে পড়ুয়ারা সমাজের সঠিক শিক্ষার মধ্যদিয়ে বড় হয়ে উঠুক। বর্তমান সময়ে অনেক ছাত্র ছাত্রীই যে ভাবে চুলের কাটিং বা পোশাক পরে স্কুলে আসে, তা দেখতে ভালো লাগে না। স্কুল কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই ভাবনা চিন্তা করে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version