মিড ডে মিলের ব্যবস্থা তো বহু স্কুলেই আছে। এবার পড়ুয়াদের জন্য আরও এক উদ্যোগ। শুধু মিড ডে মিল নয়, শিক্ষকদের উদ্যোগে এবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য ‘ব্রেকফাস্ট’। বিষটা শুনতে অবাক লাগলেও, এমনটাই দেখা গেল নদিয়ার মায়াপুর পূর্ব মোল্লাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ছাত্র ছাত্রীদের শারীরিক পুষ্টি ও পড়াশোনাকে গুরুত্ব দিয়েই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাকি শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে কথা বলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১৮৮ জন ছাত্র ছাত্রী পড়াশোনা করে। তীব্র গরমে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে মর্নিং ক্লাস চালু হয়েছে। ফলে ছাত্র ছাত্রীদের সকাল সাতটায় স্কুলে চলে আসতে হচ্ছে। প্রতিটি শ্রেণিতে খোঁজখবর নিয়ে জানা গিয়েছে বেশিরভাগ পড়ুয়াই কিছু না খেয়ে, কার্যত খালি পেটে খিদে নিয়েই সকাল সাতটার মধ্যে বিদ্যালয়ে আসছে তারা। যদিও বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল প্রতিদিনই রান্না হয়। কিন্তু খেতে খেতে প্রায় দশটা বেজে যায়। এই তিন ঘণ্টা খালি পেটে খিদে নিয়েই থাকতে হয় পড়ুয়াদের। এতক্ষণ খালি পেটে থাকা একদিকে যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়, তেমনই খালি পেটে থাকতে থাকতে কোনও কোনও পড়ুয়ার মধ্যে ঝিমুনিভাবও চলে আসে।

এই পরিস্থিতিতে ছাত্র ছাত্রীদের পুষ্টি, শারীরিক সুস্থতা ও পড়াশোনাকে গুরুত্ব দিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিরণ শেখ সহ শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন এক সিদ্ধান্ত নেন। নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, যতদিন মর্নিং স্কুল চলবে ততদিন শিক্ষক শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকে ছাত্র ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে প্রাতঃরাশ বা ‘ব্রেকফাস্ট’ দেওয়া হবে। তারপর দশটার সময় মিড ডে মিল খাবে তারা। এই বিষয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শও নেওয়া হয়েছে, যাতে ব্রেকফাস্টে ছাত্র ছাত্রীদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে মেনুতে থাকছে বিস্কুট, কর্নফ্লেক্স, কেক, মুড়ি ইত্যাদি। এক এক দিন, এক এক ধরনের খাবার দেওয়া হবে।

সকাল সকাল স্কুলে এসে খাবার পেয়ে খুবই খুশি পড়ুয়ারা। আবার শিক্ষক শিক্ষিকাদের এই উদ্যোগে আপ্লুত ছাত্র ছাত্রীদের বাবা মায়েরাও। উল্লেখ্য, পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করতে ও তাদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে মিড ডে মিলের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানেও সপ্তাহে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার দেওয়া হয়। আর এবার মায়াপুরের এই প্রাথমিক স্কুলে ব্রেকফাস্টও পাচ্ছে পড়ুয়ারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version