টানা বৃষ্টির জেরে ফের ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস। কালিম্পঙের লিখুভিরের কাছে বুধবার সকাল ধস নামে। যার জেরে শিলিগুড়ি-গ্যাংটক যাতায়াত এই মুহূর্তে বন্ধ হয়ে রয়েছে।গতকাল রাত থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে পাহাড় ও সমতলে। আজ সকালে লিখুভিরের কাছেই ধস নামে। পাহাড় বেয়ে বিশাল পাথর জাতীয় সড়কের উপর পড়ছে। এর জেরে সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে রয়েছে। জাতীয় সড়কের দুই ধারেই গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়ক থেকে ধস সরানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। দুপুরের আগে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, ফের একবার তিস্তার জল বাড়তে শুরু করায় তিস্তা বাজার থেকে দার্জিলিংগামী রাস্তা প্রশাসনের তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টির জেরে শিলিগুড়িতে মহানন্দা নদীর জলস্তরও বেড়েছে। জাতীয় সড়ক না খোলা পর্যন্ত গাড়িগুলিকে লাভা গোরুবাথান রুট হয়ে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত কয়েক সপ্তাহে একাধিবার ধস নামে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। লাগাতার বর্ষণের কারণেই ধস নেমে যান চলাচল ব্যাহত হয়। গত সপ্তাহে মেঙ্গলি, ইয়াংগাং, নামচি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বহু পর্যটক আটকে ছিলেন লাচুং সহ সিকিমের বিভিন্ন জায়গায়। ধসের কারণে তাঁদেরকে সড়ক পথে সম্ভব ছিল না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলার কারণে তাঁদেরকে আকাশপথে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছিল না। কয়েকদিন পর তাঁদের সড়ক পথে হেঁটে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়।

লাইনে কাজের জেরে বন্ধ টয় ট্রেন, কোন রুটে কতদিন?
গত সপ্তাহে লিখু ভির, কালিঝোরা, রবিঝোরা, ২৭ মাইল সহ একাধিক জায়গায় ধস নামে। যান চলাচল ব্যাহত হয়। সমস্যায় পড়তে হয় পর্যটকদের। বর্তমানে দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং সহ বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকায় পর্যটকরা রয়েছেন। সিকিমেও প্রচুর পর্যটক আছেন। তবে, জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকার কারণে পর্যটকদের কিছু সময়ের জন্য ফের সমস্যা পড়তে হবে বলেই জানা গিয়েছে। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version