নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫১৭টি শূন্যপদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র দফতরে ১০৫টি শূন্যপদ এবং প্রাণীসম্পদ বিকাশ দফতরে ২৭০টি, শিক্ষা দফতরে ৩৫ টি শূন্যপদে নিয়োগ করা হতে পারে। এছাড়াও রাজ্য সরকারে আরও বেশ কিছু শূন্যপদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, ওই সব পদে নিয়োগ শুরু হবে, কীভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। যদিও, মন্ত্রিসভার এই বৈঠকের এই সিদ্ধান্ত খুব শীঘ্রই কার্যকরী করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময়ই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যে একাধিক শূন্যপদ থাকলেও বিশেষত শিক্ষক পদে শূন্যপদ থাকলেও মামলাজনিত কারণে সেগুলিতে নিয়োগ করা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। দেউচা পাঁচামি কয়লা প্রকল্পের জন্য রাজ্যে ১ লাখ ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান হবে বলেই জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসেও মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছিল। সেখানে রাজ্যের দমকল বিভাগ ও রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশে প্রায় দু হাজারটি শূন্যপদ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দমকলে প্রায় ৬০০টি পদ ও রাজ্য পুলিশের ১৩০০ বেশি শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যের মন্ত্রিসভা। এর মধ্যে কলকাতা পুলিশেও নতুন করে ৩৫০টি শূন্যপদ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার নির্বাচন মিটতেই নতুন করে নিয়োগের ব্যাপারে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন আদর্শ আচরণবিধি চালু থাকাকালীন নতুন নিয়োগের ব্যাপারে ঘোষণা করা যায়নি। নির্বাচন মিটতেই নিয়োগের ব্যাপারে উদগ্রীব সরকার বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।