এক অবসরপ্রাপ্ত ইসিএল কর্মীর দেহ উদ্ধার বাড়ি থেকে। মাথায় গভীর ক্ষত নিয়ে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। মৃত ইসিএল কর্মীর নাম পূর্ণচন্দ্র ঘোষ (৬২)। ঘটনায় চাঞ্চল্য পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর অবসরপ্রাপ্ত ইসিএল (ECL) কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার তাঁরই নির্মীয়মাণ বাড়ির ছাদ থেকে। বুধবার রাতে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুর- ফরিদপুর ব্লকের কালিপুরে ঘটনাটি ঘটে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, তিনি সপরিবারে থাকতেন ঝাঁঝড়া কোলিয়ারি আবাসনে। কালিপুর গ্রামে জায়গা কিনে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন। প্রতিদিন তিনি সেখানে আসতেন। কাজের দেখভাল করতেন। গাঁথনিতে জল দিতেন। বুধবার সন্ধ্যেয় পূর্ণচন্দ্র নির্মীয়মাণ বাড়ির ছাদে জল দিতে উঠেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। তখনই ঘটনাটি ঘটে। মৃতের ছেলে জানান, বাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে বাবাকে ফোন করেন। ফোন বন্ধ ছিল। এরপর তিনি পরিজদনদের নিয়ে চলে আসেন কালিপুরের নির্মীয়মাণ বাড়িতে। ছাদে উঠে বাবাকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। মাথার পিছনে গভীর ক্ষত ছিল। দ্রুত তাঁকে ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের সোনার হার, আংটি, মানিব্যাগ, মোবাইল পাওয়া যায়নি।

বালির গাড়ির চাপে ১ বছরে শ্রী হারিয়েছে ‘পথশ্রী’র রাস্তা
মাথার পিছনের ক্ষত দেখে পরিবারের প্রাথমিক অনুমান, তাঁকে গুলি করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছয় ফরিদপুর (লাউদোহা) থানার পুলিশ। কী কারণে এই ঘটনা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যেয় নির্মিয়মান বাড়ির সামনের মাঠে বসে থাকা কয়েকজন পটকা ফাটার মতো একটা আওয়াজ পেয়েছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। সেই আওয়াজ গুলির কিনা তা কেউ বুঝতে পারেননি। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের এসিপি (অণ্ডাল) পিন্টু সাহা বলেন, ‘তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছে কিনা ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে। কোনও শত্রুতার জেরে ঘটনা কিনা তদন্ত করা হচ্ছে।’ তাঁর সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল কিনা, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষীকে ধরার ব্যাপারে পুলিশের কাছে আর্জি জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version