এই সময়: জীবনের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়টা তিনি দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানকে। প্রায় ২১ বছর অধ্যাপনা। তার পর ২০২১ সালে তাঁর অবসর। কিন্তু অবসরের পর যে টুকু তাঁর প্রাপ্তি, সেটা কিছুতেই ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিকাল ইনস্টিটিউট (আইএসআই), কলকাতা মেটাচ্ছে না বলে অভিযোগ। ওই কেন্দ্রীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এহেন বঞ্চনার বিরুদ্ধে তাই হাঁটুব্যথা, হাই ব্লাড প্রেশার, ডায়াবিটিসের মতো শারীরিক জটিলতাকে উপেক্ষা করে ধর্নায় বসতে হচ্ছে এক অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপককে।বরাহনগরে খাস আইএসআই, কলকাতার গেটে এমন নজিরবিহীন প্রতিবাদে তাজ্জব অনেকেই। সত্তর ছুঁই ছুঁই, ডানলপের প্রশান্ত পাঠক ২০০০ সালে আইএসআই, কলকাতায় যোগ দেন পপুলেশন স্টাডিজ়ের লেকচারার হিসেবে। তার পর তিনি স্যাম্পলিং ও অফিশিয়াল স্ট্যাটিসটিক্সে জয়েন করেন। দীর্ঘদিন ওই ডিভিশনে (এ ক্ষেত্রে বিভাগকে বলা হয় ডিভিশন) তিনি অধ্যাপনা করে অবসর নেন ৬৫ বছর বয়সে।

কিন্তু অভিযোগ, সেই ইস্তক গত তিন বছর ধরে তিনি বার বার কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হচ্ছেন। অথচ তাঁর অবসরকালীন পাওনা-গন্ডা কিছুতেই মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। প্রশান্তর দাবি, গ্র্যাচুইটি বাবদ তাঁর প্রায় ২০ লক্ষ টাকা পাওনা, তার উপর পেনশনেরও একটা অংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে। ২০২২ সালে প্রশান্তর স্ত্রী মারা যান। ওই বৃদ্ধের এক বন্ধুর ছেলে এখন তাঁর দেখভাল করেন। মাঝেমধ্যেই তাঁকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।

বার বার আইএসআই কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েও সমস্যা না-মেটায় প্রশান্ত শেষমেশ প্রতিষ্ঠানের গেটের সামনে বসে পড়েছেন। পোস্টার লিখেছেন নিজের হাতে। অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানের ভিতরে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অগত্যা গেটের সামনেই ধর্না।
বেআইনি নির্মাণ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা, প্রাক্তন DSP-কে খুনের হুমকি

কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত ওই অধ্যাপক কেন বকেয়া টাকা পাচ্ছেন না?
আইএসআই সূত্রে খবর, প্রায় ১২ বছর আগে প্রশান্ত পাঠকের প্রোমোশন হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগে, সে জন্যই জটিলতা। তবে প্রশান্ত সখেদে বলছেন, ‘কমিটি করে, নিয়ম মাফিক আমার পদোন্নতি হয়েছিল। সেখানে ইনস্টিটিউটের তরফে যদি গোলযোগ হয়ে থাকে, তা হলে সে জন্য আমাকে কেন ভুগতে হবে? সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে আমাকে রাস্তায় বসতে হচ্ছে।’

তিনি জানান, এতেও কাজ না-হলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন। এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া পেতে আইএসআই, কলকাতার ডিরেক্টর সংঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার বার ফোন ও মেসেজ করা হলেও তিনি উত্তর দেননি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version