কিন্তু অভিযোগ, সেই ইস্তক গত তিন বছর ধরে তিনি বার বার কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হচ্ছেন। অথচ তাঁর অবসরকালীন পাওনা-গন্ডা কিছুতেই মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। প্রশান্তর দাবি, গ্র্যাচুইটি বাবদ তাঁর প্রায় ২০ লক্ষ টাকা পাওনা, তার উপর পেনশনেরও একটা অংশ কেটে নেওয়া হচ্ছে। ২০২২ সালে প্রশান্তর স্ত্রী মারা যান। ওই বৃদ্ধের এক বন্ধুর ছেলে এখন তাঁর দেখভাল করেন। মাঝেমধ্যেই তাঁকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।
বার বার আইএসআই কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েও সমস্যা না-মেটায় প্রশান্ত শেষমেশ প্রতিষ্ঠানের গেটের সামনে বসে পড়েছেন। পোস্টার লিখেছেন নিজের হাতে। অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানের ভিতরে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অগত্যা গেটের সামনেই ধর্না।
কিন্তু অবসরপ্রাপ্ত ওই অধ্যাপক কেন বকেয়া টাকা পাচ্ছেন না?
আইএসআই সূত্রে খবর, প্রায় ১২ বছর আগে প্রশান্ত পাঠকের প্রোমোশন হয়েছিল নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগে, সে জন্যই জটিলতা। তবে প্রশান্ত সখেদে বলছেন, ‘কমিটি করে, নিয়ম মাফিক আমার পদোন্নতি হয়েছিল। সেখানে ইনস্টিটিউটের তরফে যদি গোলযোগ হয়ে থাকে, তা হলে সে জন্য আমাকে কেন ভুগতে হবে? সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে আমাকে রাস্তায় বসতে হচ্ছে।’
তিনি জানান, এতেও কাজ না-হলে আদালতের দ্বারস্থ হবেন। এই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া পেতে আইএসআই, কলকাতার ডিরেক্টর সংঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার বার ফোন ও মেসেজ করা হলেও তিনি উত্তর দেননি।