আবারও চোর সন্দেহে মারধর। এবার ঘটনাস্থল তারকেশ্বর। অভিযোগ, চোর সন্দেহে মারধরে মৃত্যু হয়েছে বিশ্বজিৎ মান্না (২৫) নামে এক যুবকের। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।

ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ‘মারধর’

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, তারকেশ্বর থানার নাইটা মাল পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রানাবাঁধ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন পেশায় গাড়িচালক বিশ্বজিৎ মান্না। পরিবারের অভিযোগ, তাদেরই এক আত্মীয় বিকাশ সামন্তর ছেলে দেবকান্ত সামন্ত ঘুম থেকে তুলে নিয়ে যায় বিশ্বজিৎকে। দেবকান্তর দাবি ছিল বিশ্বজিৎ তাদের বাড়িতে চুরি করেছে। তাই বিশ্বজিতের থেকে টাকাও দাবি করে সে। কিন্তু বিশ্বজিৎ দেবকান্তদের দাবি অস্বীকার করে। এমনকী দেবকান্তর টাকা দাবি মতো টাকাও দিতে চায়নি সে। অভিযোগ, এরপরেই শুরু হয় মারধর। পিভিসি পাইপ লাঠি রাস্তায় ফেলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারের চোটে জ্ঞান হারায় বিশ্বজিৎ। তাঁর মা রুমা মান্না ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলতে থাকেন। কিন্তু তাঁর কথাতেও কোনওরকম গুরুত্ব দেয়নি দেবকান্তরা।

বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার

ঘটনায় নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিকাশ সামন্ত ও তার ছেলে দেবকান্ত সামন্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃত বিশ্বজিতের মায়ের দাবি, ছেলে চুরি করেনি। শুধু শুধু মিথ্যা অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁর ছেলেকে। বিশ্বজিতের দাদা অভিজিৎ মান্নার জানান, যারা তাঁর ভাইকে মারধর করেছে তারা তাঁদের আত্মীয়। অভিজিতেরও দাবি, তাঁর ভাই চুরি করেনি, তা সত্ত্বেও বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পাইপ দিয়ে মারধর করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘একটা ঘটনা ঘটেছে। এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’

উল্লেখ্য, চোর সন্দেহে সম্প্রতি কলকাতায় যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। মুচিপাড়া থানার নির্মলচন্দ্র সেন স্ট্রিটে ঘটে এই ঘটনাটি। মৃত ব্যক্তির নাম ইরশাদ (৪৭)। চাঁদনি এলাকায় একটি টেলিভিশন বিক্রির দোকানে মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। ইরশাদকে সরকারি ছাত্রাবাস উদয়ন হস্টেলে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version