হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরেই শুরু বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। সেই পুজোকে ঘিরেই মেতে উঠবে আপামর বঙ্গবাসী। আর শুধু বাংলার মানুষই নয়, দেশ বিদেশের যেখানে যত বাঙালি আছে, তারা প্রত্যেকেই অপেক্ষা করে থাকে বছরের এই সময়টার জন্য। ইতিমধ্যেই বেশকিছু কমিটিতে পুজোর প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম নদিয়ার কামালপুর অভিযান সংঘ।এই বছর বিলাশাকায় এক প্রতিমা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন কামালপুর অভিযান সংঘের সদস্যরা। এই বছর ১১১ ফুটের প্রতিম তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। যদিও ক্লাবের সদস্যদের দাবি, আপাতত ১১১ ফুট বলা হলেও, এর মধ্যে রয়েছে ‘সিক্রেট’। অর্থাৎ আপাতত ১১১ ফুট বলা হলেও,আদতে তার উচ্চতা আরও বেশি পারে। আর বিশাল এই প্রতিমা তৈরি হবে ফাইবার কাস্টিংয়ের মধ্যে দিয়ে।

এক্ষেত্রে অভিযান সংঘের অন্যতম কর্ণধার সুজয় বিশ্বাস জানান, আপাতত মাটি দিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। তবে পরে তা ফাইবার কাস্টিংয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ রূপ পাবে। আর ফাইবারের হওয়ায়, তা ওজনে খুবই হালকা হবে বলেই জানাচ্ছেন তিনি। আসলে কোনওরকম দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রতিমা হালকা করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টিতে তাঁরা যে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন তা পরিষ্কারভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন সুজয়। তিনি আরও জানান, বড় প্রতিমা করার চিন্তাভাবনা তাঁদের অনেকদিন ধরেই ছিল। আর এবার সেই পরিকল্পনাকেই বাস্তবায়িত করার চেষ্টা হচ্ছে। সুজয়ের দাবি, এটিই হতে চলেছে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্গা’।

বর্তমানে ১০ থেকে ১২ জন শিল্পী মিলে প্রতিমার কাজ করছেন। কাজ শুরু হয়েছে পয়লা বৈশাখ থেকে। এই বিষয়ে প্রতিমা শিল্পী বাপি সরকার জানান, বর্তমানে খড়, মাটি, ধানের চিটে দিয়ে প্রতিমার কাজ শুরু হয়েছে। এরপর ফাইবার কাস্টিং হবে। লোহার পাইপের স্ট্রাকচারে দাঁড় করানো হবে প্রতিমা। এই বিষয়ে ইঞ্জিনিয়রদের সাহায্য নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

উদ্যোক্তাদের আশা, শুধু স্থানীয়রাই নন, জেলার বাইরে, এমনকী বিদেশ থেকেও দর্শনার্থীরা আসতে পারেন তাঁদের প্রতিমা দেখতে। সেক্ষেত্রে এই প্রতিমা দেখতে গেলে দর্শনার্থীদের রানাঘাট রেল স্টেশনে নেমে প্ল্যাটফর্মের বাইরে এসে ধরতে হবে টোটো, অটো বা ম্যাজিক গাড়ি। পাশাপাশি গাংনাপুর স্টেশনে নেমেও পৌঁছে যাওয়া যাবে অভিযান সংঘের পুজো প্রাঙ্গণে। প্রসঙ্গত, বছর কয়েক আগে বড় মাপের প্রতিমা গড়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল কলকাতার একটি পুজো কমিটি। এখন দেখার নদিয়ার অভিযান সংঘের পুজো কতটা ক্রাউড পুলার হয়ে উঠতে পারে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version