আড়িয়াদহ কাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার মূল চক্রী। পুলিশের জালে অভিযুক্ত জয়ন্ত সিং। বুধবার রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হবে।ঘটনার প্রায় ৪ দিন পর অবশেষে গ্রেফতার আড়িয়াদহ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত জয়ন্ত সিং। জানা গিয়েছে, বেলঘরিয়া থানার পুলিশ বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে বনহুগলি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার দুপুরেই জয়ন্তকে আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়েই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

আড়িয়াদহ কাণ্ডে মা ও ছেলেকে মারধরের ঘটনায় এর আগে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে, মূল অভিযুক্ত অধরা ছিল। অবশেষে বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর থেকে ধৃতকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।

গত রবিবার আড়িয়াদহের একটি মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায় রাস্তার উপরে মা এবং ছেলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বেধড়ক মারছে কয়েকজন যুবক। জানা গিয়েছে, সায়নদীপ পাঁজা ও তাঁর মা বুবুন পাঁজাকে রাস্তায় বেধড়ক মারধর করা হয়। সায়নদীপের সঙ্গে বেশ কিছু যুবকের ঝামেলা থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত।

জানা যায়, কিছুক্ষণের মধ্যেই ছোটদের মধ্যে সেই ঝামেলা বড় আকার নেয়। পরে অভিযুক্ত জয়ন্ত সিং এবং তার দলবল ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করে। মারধরের মাঝেই ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তার মাও। মা ও ছেলে দুজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সায়নদীপের পাঁজরে চোট লাগে। অন্যদিকে, সায়নদীপের দুটি দাঁত ঘটনাস্থলে পড়ে যায়। আরও দুটি দাঁত মাড়ির ভেতরে ঢুকে যায়। মঙ্গলবার তাঁর অপারেশন করা হয়েছে।

গণপিটুনি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পুলিশকর্তারা
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়, গত রবিবার রাত ১০টা নাগাদ সায়নদীপ বাড়ির সামনে বসে গল্প করছিলেন। প্রীতম কাহার নামে এক যুবক তখন সেখানে থেকে যাচ্ছিল। প্রীতমের মনে হয়, তাকে উদ্দেশ করে সায়নদীপ ও তার বন্ধু কিছু কটু কথা কথা বলছে। এরপরেই দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। প্রতীম বলে ছেলেটি এরপর জয়ন্তকে ফোন করে ডেকে নেয় বলে খবর। জয়ন্ত দলবল নিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে হাজির হয়। সায়নদীপ ও তাঁর বন্ধুকে মারধর করা শুরু হয়ে যায়। বাড়ির নীচে চেঁচামেচি হচ্ছে শুনে সায়নদীপের মা ছুটে যান রাস্তায়। ছেলেকে গুণ্ডাদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও আক্রান্ত হন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version