শুভ্রাংশু রায় বলেন, ‘বাবা আগের থেকে থেকে একটু ভালো আছেন। তবে পুরোপুরি আগের মতো নন তিনি। বাবাকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করা হয়েছে। আপাতত অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছে। জ্ঞান পুরোপুরি ফেরেনি। ঠিক মতো কথা বলতে পারছেন না।’
মুকুল রায়ের পরিবার সূত্রে খবর, ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণের মধ্যে রয়েছেন তিনি। যেহেতু ‘ব্রেন অপারেশন’ সেই কারণে তাঁর সুস্থ হয়ে ওঠতে সময় লাগবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, মুকুল রায় দীর্ঘ সময় ধরে অসুস্থ ছিলেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর। এর প্রভাব পড়ে তাঁর শরীরের উপরেও। তাঁর ডায়াবিটিসের সমস্যা রয়েছে। পাশাপাশি কমেছে স্মৃতিশক্তিও। রাজ্যের দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই রাজনৈতিক নেতা এখন অনেককেই ঠিকমতো চিন্তে পারেন না। শরীরে মাত্রাতিরিক্ত শর্করা থাকার জন্য তাঁকে ইনসুলিন নিতে হয়।
প্রসঙ্গত, বঙ্গ রাজনীতিতে মুকুল রায়ের অধ্যায় অত্যন্ত দীর্ঘ। ২০১৭ সালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যোগদান করেন বিজেপিতে। ২০২১ সালে মুকুল রায় কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়েন এবং জয়ী হন। কিন্তু, সেই বছরই তিনি তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন। তাঁর সঙ্গে তৃণমূলে ফেরেন শুভ্রাংশু রায়ও।
তবে এরপর সেভাবে আর রাজনৈতিক ময়দানে সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি মুকুল রায়কে। মাঝে অবশ্য তাঁর দিল্লি যাওয়া নিয়ে বিস্তর শোরগোল পড়েছিল।