এই সময়: গরমে নাকাল হওয়া তো ছিলই। বর্ষাতেও নিস্তার নেই। লোকসভা ভোট-পর্ব মিটতেই যাদবপুর-সহ ইএম বাইপাস লাগোয়া একাধিক এলকায় ফের শুরু হয়েছে পানীয় জলের তীব্র সমস্যা। শুধু বাসিন্দারাই নয়, শাসকদলের কাউন্সিলাররাও এই সমস্যা নিয়ে সরব হয়েছেন। লোকসভা ভোটের আগে এই সব এলকায় ট্যাঙ্কে করে জল পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল কলকাতা পুরসভা।বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোট মিটতেই ধীরে ধীরে আবার শুরু হয়েছে জল-কষ্ট। পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে, পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মেয়র পারিষদদের বৈঠকে বাইপাস লাগোয়া একাধিক ওয়ার্ডে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুরসভার গত মাসিক অধিবেশনে ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অরিজিৎ দাস ঠাকুর জানান, তাঁর ওয়ার্ডের মণ্ডলপাড়া, মহেন্দ্র মণ্ডল রোড, হসপিটাল রোড-সহ কালিকাপুর সংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা তীব্র জলকষ্টে রয়েছেন।

এই সমস্যা সমাধানে কালিকাপুরের মাতঙ্গিনী হাসপাতালের পরিত্যক্ত জমিতে জলাধার নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল এক সময়ে। কিন্তু জমি হস্তান্তরের সমস্যা এখনও মেটেনি। তিনি মেয়রের কাছে এই সমস্যা মিটিয়ে দ্রুত জলাধার নির্মাণের আর্জি জানান। তাঁর প্রস্তাবের জবাবে মেয়র বলেছিলেন, ‘ওই জমিতে জলাধার নির্মাণ হবেই। আইনি সমস্যার সমাধান হলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

বাইপাস লাগোয়া ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপুরেও পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে বেশ কিছু পাড়ায়। বাসিন্দারা জানান, পুরসভার কলে জলের চাপ এত কম যে পর্যাপ্ত জল পাওয়া যায় না। কলে পাইপ লাগিয়ে মুখ দিয়ে টেনে জল বের করতে হয়। চাপ কম হওয়ায় জলের জন্যে লাইনে দাঁড়িয়েও অনেক বাসিন্দা জল সংগ্রহ করতে পারেন না বলে অভিযোগ।

আনন্দপুরের বাসিন্দা ছন্দারানি মণ্ডল, গীতা গায়েন-সহ অনেকেই জানান, কাজ চালানোর জন্যে ট্যাঁকের কড়ি গচ্চা দিয়ে নিয়মিত জল কিনতে হয় তাঁদের। বাসিন্দাদের এই সমস্যার কথা জানা রয়েছে ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা ১২ নম্বর বরোর চেয়ারপার্সন সুশান্ত ঘোষেরও। তিনি বলেন, ‘বাসিন্দাদের এই সমস্যার কথা পুরসভার উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা রাখি, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’

Kolkata Water Supply News: কিছুক্ষণ পর থেকেই দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে বন্ধ হবে পানীয় জল সরবরাহ, কখন স্বাভাবিক পরিষেবা?
তবে ইএম বাইপাস লাগোয়া বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানীয় জলের এই সমস্যার সমাধানে বাসিন্দাদের বুস্টার পাম্পিং স্টেশন নির্মাণ এবং তার পরে জলের লাইনের সংযোগ-স্থাপন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেই পুরসভার জল-সরবরাহ বিভাগের একাধিক আধিকারিক জানাচ্ছেন। তাঁদের কথায়, ‘খুব সমস্যা হলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্যে ওই এলাকায় জলের ট্যাঙ্ক পাঠানোই আপাতত একমাত্র উপায়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version