বাড়িতে পড়ে মাথায় চোট পেয়েছেন বাংলার নেতা মুকুল রায়। তাঁকে মঙ্গলবার রাতেই শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মস্তিষ্কে একটি অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্ষীয়ান এই নেতার চিকিৎসায় একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায় এই সময় ডিজিটাল-কে বলেন, ‘বাবা এখনও আচ্ছন্ন। কথা বলতে পারছেন না। এই মুহূর্তে আইসিইউ-তে রয়েছেন।’স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন মুকুল রায়। প্রভাব পড়তে শুরু করে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির উপরেও। ক্রমশ শরীর ভাঙতে শুরু করে তাঁর। রাজনীতি থেকেও দূরে সরে যেতে থাকেন তিনি। পরিচিতদের চিনতে অসুবিধা হচ্ছিল তাঁর। পাশাপাশি কথাবার্তাও ছিল অসংলগ্ন।

২০২২ সালের পর থেকে সেভাবে রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি বাংলার এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার তিনি বাড়িতেই পড়ে যান এবং তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। তড়িঘড়ি সেই রাতেই তাঁকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা তাঁর মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন। আপাতত সেই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন মুকুল রায়।

শুভ্রাংশু বলেন, ‘বাবার সুস্থ হতে সময় লাগবে। তিনি সম্পূর্ণ আছন্ন। কাউকেই চিনতে পারছেন না।’ উল্লেখ্য, একসময় ‘বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য’ বলা হত মুকুল রায়কে। ২০১৮ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির ‘হাল’ ধরেছিলেন অনেকাংশে, মনে করেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির টিকিটে ভোটে লড়েন এবং জয়ী হন। কিন্তু, সেই বছরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী। সেই সময় মুকুল রায়ের স্ত্রীকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌজন্য রাজনীতির সেই নজির আজও বহু মানুষের স্মৃতিতে তাজা।

সেই বছরই ছেলে শুভ্রাংশুকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন মুকুল রায়। কিন্তু, স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকেই তিনি ক্রমশ অসুস্থ হতে শুরু করেন। ধীরে ধীরে সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে অনেকটাই সরিয়ে নেন তিনি। মাঝে অবশ্য তাঁর ‘ঝটিকা দিল্লি সফর’ নিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে বিস্তর আলোড়ন পড়েছিল। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু। তাঁর দাবি ছিল, বাবাকে জোর করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ফিরে আসার পর রাজনীতির আঙিনায় মুকুলের সেভাবে নতুন করে কোনও অবদান নজরে আসেনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version