কোন এলাকায় কত বাজার আছে, সেখানে কি মা ক্যান্টিন রয়েছে, না থাকলে খোলার মতো জায়গা আছে কি — দ্রুত এ সব জানানোর জন্য রাজ্যের সব পুরনিগম এবং পুরসভাকে নির্দেশ পাঠিয়েছে পুর দপ্তর।বিভিন্ন পুর-এলাকায় মা ক্যান্টিন বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে গত এক বছরে একাধিক চিঠি পৌঁছেছে নবান্নে। সরকারি সূত্রে খবর, আমজনতার সেই দাবিকে গুরুত্ব দিয়েই রাজ্যে এই ক্যান্টিন আরও বাড়াতে চাইছে প্রশাসন। টার্গেট, মূলত সব পুর-বাজার এলাকায় এই ক্যান্টিন খোলা। সে কারণেই পুর দপ্তরের তরফে পুর-কর্তৃপক্ষের কাছে এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।

প্রধানত আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের যাতে দুপুরবেলা ভাতের অভাব না হয়, সেই লক্ষ্যে ২০২১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পথচলা শুরু হয় মা ক্যান্টিনের। এই ক্যান্টিনে প্রতিদিন বহু মানুষ খাবার খান। ৫ টাকার বিনিময়ে মেলে ডিম-ভাত-ডাল-সব্জি। আবার, গরমের সময়ে সুস্থতার উপরে জোর দিয়ে কাঁচা আম দিয়ে টক-ডাল, শুক্তো, ডিম সিদ্ধ রাখা হয় মেনুতে। ক্যান্টিনের জন্য সরকার মাথাপিছু ১০ টাকা ভর্তুকি দেয়।

পুরসভার আওতাধীন বাজারের পাশাপাশি কলকাতা-সহ রাজ্যের অনেক হাসপাতালেও মা ক্যান্টিন খোলা হয়েছে। রোগীর আত্মীয়দের সুবিধার্থেই এই ব্যবস্থা। বছর দেড়েক আগে একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছিল, রাজ্যের পুর এলাকাগুলিতে সব মিলিয়ে বাজারের সংখ্যা ১,১২৪ টি। আর মা ক্যান্টিন মাত্র ৩৩০টি। এর মধ্যে কলকাতাতেই রয়েছে ১৩৩টি ক্যান্টিন।

কাজেই রাজ্যের অন্যত্র তা বাড়ানো দরকার বলে অনেকের মত। পুরসভাগুলির থেকে তালিকা এলেই ধাপে-ধাপে মা ক্যান্টিন বাড়ানোর কাজ শুরু হবে বলে পুর দপ্তর সূত্রে খবর। দপ্তরের কর্তাদের বক্তব্য, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যদের মাধ্যমে ক্যান্টিন চলে। নতুন যে ক্যান্টিনগুলি চালু হবে, সেগুলি পরিচালনার দায়িত্বও তাঁদের হাতেই থাকবে। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে পরিচ্ছন্নতায়।

ক্যান্টিন খোলার আগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের এ জন্য ট্রেনিংও দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে। পুর দপ্তরের এক কর্তার বক্তব্য, ‘শুধু পুর-এলাকার বাসিন্দারা নন। বাইরে থেকে কাজের সূত্রে আসা অনেক মানুষেরও ভরসা মা ক্যান্টিন। ফলে, এর সংখ্যা বাড়লে অনেকেই উপকৃত হবেন।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version