এই মামলায় রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি শুনানিতে জানান, রাজ্যের অনুমতি বা ‘জেনারেল কনসেন্ট’ ছাড়া সিবিআই কোনও মামলায় তদন্ত করতে পারে না। রাজ্যে ঢোকার আগে সরকারের কাছে অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্যের অনুমতি না নেওয়া হলে, সেই বিষয়টি দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় প্রভাব পড়তে পারে। এমনকি, সিবিআই কোনও মামলায় তদন্ত করলে তার সূত্রে ধরে ইডিও একাধিক মামলায় ঢুকে পড়ছে।
অন্যদিকে, এই মামলায় কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা যুক্তি দেন, সিবিআই একটি স্বাধীন সংস্থা, এটা কেন্দ্রের অধীনে নেই। ফলত, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নেই। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘কেন্দ্র কোনও এফআইআর করে না। বিভিন্ন মামলায় সিবিআই এফআইআর করে। এই মামলা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে না করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, সিবিআই-ইডির মতো তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে ‘অপব্যবহার’ করছে বলে জোরালো দাবি তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জায়গায় এই ধরনের কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে, বিরোধী দলের একাধিক নেতাদের সিবিআই-ইডির ‘জুজু’ দেখানো হচ্ছে বলে দাবি করে আসছে রাজ্যের শাসক দল। দেশের শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পর তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, সত্যের জয় সবসময়! শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্ত তাদের জন্য একটি শিক্ষা যারা কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার করে একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে দুর্বল করতে চায়। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় মৌলিক নীতির প্রতি কোনও হুমকি মেনে নেওয়া হবে না। আগামী ১৩ জুলাই এই মামলায় পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
