রাজ্য সরকারের অভিযোগকে মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআইকে অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই অভিযোগের মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্র যে সিবিআইয়ের অপব্যবহার করছে, তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।সিবিআই রাজ্যে তদন্তের ব্যাপরে ছাড়পত্র বা ‘জেনারেল কনসেন্ট’ চায় সরকারের কাছে। সিবিআই তদন্তের উপর ঢালাও ছাড়পত্র ২০১৮ সালে প্রত্যাহার করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। রাজ্যের অভিযোগ, এরপরেও একের পর এক মামলায় রাজ্যের অনুমতি ছাড়াই এফআইআর করতে শুরু করে দিয়েছে সিবিআই। এই অভিযোগ তুলেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল রাজ্য সরকার। এই মামলা গত তিন বছর ধরে শীর্ষ আদালতে ঝুলে রয়েছে।

এই মামলায় রাজ্যের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি শুনানিতে জানান, রাজ্যের অনুমতি বা ‘জেনারেল কনসেন্ট’ ছাড়া সিবিআই কোনও মামলায় তদন্ত করতে পারে না। রাজ্যে ঢোকার আগে সরকারের কাছে অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্যের অনুমতি না নেওয়া হলে, সেই বিষয়টি দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় প্রভাব পড়তে পারে। এমনকি, সিবিআই কোনও মামলায় তদন্ত করলে তার সূত্রে ধরে ইডিও একাধিক মামলায় ঢুকে পড়ছে।

অন্যদিকে, এই মামলায় কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা যুক্তি দেন, সিবিআই একটি স্বাধীন সংস্থা, এটা কেন্দ্রের অধীনে নেই। ফলত, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নেই। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘কেন্দ্র কোনও এফআইআর করে না। বিভিন্ন মামলায় সিবিআই এফআইআর করে। এই মামলা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে না করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে করা হয়েছে।’

আদিগঙ্গা সংস্কার নিয়ে জমা পড়েনি রাজ্যের রিপোর্ট, চার সপ্তাহ সময় চান মুখ্যসচিব
উল্লেখ্য, সিবিআই-ইডির মতো তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে ‘অপব্যবহার’ করছে বলে জোরালো দাবি তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জায়গায় এই ধরনের কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে, বিরোধী দলের একাধিক নেতাদের সিবিআই-ইডির ‘জুজু’ দেখানো হচ্ছে বলে দাবি করে আসছে রাজ্যের শাসক দল। দেশের শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পর তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, সত্যের জয় সবসময়! শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্ত তাদের জন্য একটি শিক্ষা যারা কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার করে একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাজ্য সরকারকে দুর্বল করতে চায়। আমাদের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় মৌলিক নীতির প্রতি কোনও হুমকি মেনে নেওয়া হবে না। আগামী ১৩ জুলাই এই মামলায় পরবর্তী শুনানি রয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version