রাজ্যের জেলগুলিতে ‘টেলি মেডিসিন’ ব্যবস্থায় এ বার সামিল হতে চলেছেন বন্দিদের পরিজনও। বন্দিরা যখন ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে কথা বলবেন, তখন তাঁর আত্মীয়-পরিজনও যাতে সেখানে থাকতে পারেন, তার চেষ্টা চলছে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগের অতীত ইতিহাস জানা প্রয়োজন।অথচ দেখা গিয়েছে, বন্দিরা অনেক সময়েই রোগের ইতিহাস নিয়ে স্পষ্ট করে বলতে পারেন না। কারা দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রতি জেলে ‘টেলি মেডিসিন’ পরিষেবা চালুর জন্যে ইন্টারনেট সংযোগ-সহ একটি ঘর থাকবে। সেখানে বন্দির সঙ্গে থাকবেন তাঁর আত্মীয় এবং জেলের চিকিৎসক। অন্য প্রান্তে থাকবেন সরকারি হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

রোগীর সঙ্গে কথা বলে কী ভাবে চিকিৎসা হবে, কী কী ওষুধ দরকার–তার ই-প্রেসক্রিপশন দেবেন বিশেষজ্ঞ। তার ভিত্তিতে জেল হাসপাতালে বন্দির চিকিৎসা চলবে। বিশেষজ্ঞ যদি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন, তা-ও মানতে হবে জেলকে। নানা অসুস্থতায় ভোগেন বন্দিরা। কেউ হার্টের সমস্যায় তো কেউ কিডনির সমস্যায়। কেউ আবার ইনসুলিন পেতে জেরবার হন।

প্রত্যেকেই চান, চিকিৎসার জন্যে ভালো হাসপাতালে ভর্তি হতে। শিক্ষা, কয়লা, রেশন দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, অনুব্রত মণ্ডল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও হাসপাতালে ভর্তি হতে আদালতে দরবার করেছেন। তা নিয়ে ইডি-সিবিআইয়ের সঙ্গে আইনি লড়াইও হয়েছে তাঁদের।

এই আবহে অধিকাংশ জেল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় নাজেহাল কারা দপ্তর। সব ধরনের বন্দিরাই যাতে জেলে বসে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ পেতে পারেন, সেই লক্ষ্যে এ বার রাজ্যের সব জেলা সংশোধনাগারে ‘টেলি মেডিসিন’ পরিষেবা চালু করতে চলেছে কারা দপ্তর।

কিছু দিন আগে প্রেসিডেন্সি, দমদম-সহ কয়েকটি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ‘টেলি মেডিসিন’ পরিষেবা চালুর উদ্যোগ হলেও জেলা সংশোধনাগারগুলি তার আওতায় এতদিন আসেনি। কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘আমরা চাইছি সব জেলেই টেলি মেডিসিন পরিষেবা পৌঁছে দিতে। যাতে বন্দি অবস্থায় কারও কোনও সমস্যা হলে জেলে বসেই বিশেষজ্ঞের মতামত পান।’

কারা দপ্তরের এক কর্তার কথায়, ‘জেল থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া-আসা ঝুঁকিপূর্ণ। জেলার সংশোধনাগারে সমস্যা আরও বেশি। সে কারণেই এমন চিন্তাভাবনা।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version