রোগীর সঙ্গে কথা বলে কী ভাবে চিকিৎসা হবে, কী কী ওষুধ দরকার–তার ই-প্রেসক্রিপশন দেবেন বিশেষজ্ঞ। তার ভিত্তিতে জেল হাসপাতালে বন্দির চিকিৎসা চলবে। বিশেষজ্ঞ যদি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন, তা-ও মানতে হবে জেলকে। নানা অসুস্থতায় ভোগেন বন্দিরা। কেউ হার্টের সমস্যায় তো কেউ কিডনির সমস্যায়। কেউ আবার ইনসুলিন পেতে জেরবার হন।
প্রত্যেকেই চান, চিকিৎসার জন্যে ভালো হাসপাতালে ভর্তি হতে। শিক্ষা, কয়লা, রেশন দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, অনুব্রত মণ্ডল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও হাসপাতালে ভর্তি হতে আদালতে দরবার করেছেন। তা নিয়ে ইডি-সিবিআইয়ের সঙ্গে আইনি লড়াইও হয়েছে তাঁদের।
এই আবহে অধিকাংশ জেল হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় নাজেহাল কারা দপ্তর। সব ধরনের বন্দিরাই যাতে জেলে বসে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ পেতে পারেন, সেই লক্ষ্যে এ বার রাজ্যের সব জেলা সংশোধনাগারে ‘টেলি মেডিসিন’ পরিষেবা চালু করতে চলেছে কারা দপ্তর।
কিছু দিন আগে প্রেসিডেন্সি, দমদম-সহ কয়েকটি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ‘টেলি মেডিসিন’ পরিষেবা চালুর উদ্যোগ হলেও জেলা সংশোধনাগারগুলি তার আওতায় এতদিন আসেনি। কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘আমরা চাইছি সব জেলেই টেলি মেডিসিন পরিষেবা পৌঁছে দিতে। যাতে বন্দি অবস্থায় কারও কোনও সমস্যা হলে জেলে বসেই বিশেষজ্ঞের মতামত পান।’
কারা দপ্তরের এক কর্তার কথায়, ‘জেল থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া-আসা ঝুঁকিপূর্ণ। জেলার সংশোধনাগারে সমস্যা আরও বেশি। সে কারণেই এমন চিন্তাভাবনা।’