এই বিষয়ে টাস্ক ফোর্সের প্রধান রবীন্দ্রনাথ কোলে বলেন, ‘দাম বেড়েছে এটা বাস্তব। দাম কমানোর জন্যই আজ আমরা বেরিয়েছি। সঙ্গে রয়েছেন এনফোর্সমেন্টের আধিকারিকরা। রয়েছে ফুলবাগান থানার পুলিশও। কিন্তু দামটা বেড়েছে কেন, সেটাই এখন প্রশ্ন। সেটা সাধারণভাবে বেড়েছে, না ম্যান মেড, সেটাই জানার চেষ্টা চলছে। তবে আলুর দাম কমবেই, এতে কোনও সন্দেহ নেই।’ লাগাতার এই ধরনের পদক্ষেপ চলবে বলেও জানিয়ে দেন রবীন্দ্রনাথ কোলে।
অন্যদিকে দেবতোষ সামন্ত নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘জিনিসপত্রের দাম এত বাড়ছে কেন, সেই বিষয়ে আমাদের জিজ্ঞাসা করা হয়। আমরা যদি কম দামে স্টোর থেকে জিনিস, পাই, তাহলে দাম কমে যাবে। কিলো প্রতি আমাদের ১ থেকে ২ টাকা লাভ থাকে। যে দামে কিনব, তেমনই তো বিক্রি করব।’ প্রায় একই ধরনের কথো শোনা গেল রজকুমার মান্না নামে আরও এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে। তবে তিনি অবশ্য মনে করেন ১০ দিনের মধ্যে দাম কমানো সম্ভব।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নবান্নে শাক-সবজি সহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ নির্দেশ দেন, ১০ দিনের মধ্যে দাম কমাতে হবে। আর এই বিষয়টি দেখার জন্য টাস্ক ফোর্সকে দায়িত্ব দেন তিনি। একইসঙ্গে বৈঠকে টাস্ক ফোর্সের কাজ নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় মমতাকে। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য যে টাস্ক ফোর্স গড়ে দেওয়া হয়েছিল তারা বর্তমানে কী করছে? ৭ দিন পরপর বৈঠক করারও নির্দেশ দেন মমতা। এরপরেই এদিন ময়দানে নামে টাস্ক ফোর্স।