এই সময়: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের করা মানহানির মামলা ঘিরে নতুন বিতর্ক তৈরি হলো বুধবার। এ দিন মামলাটির শুনানি ছিল হাইকোর্টে। সেখানে অবশ্য উল্লেখযোগ্য কিছু হয়নি। বিচারপতি কৃষ্ণা রাও শুধু জানান, আগামী ১৫ জুলাই ফের শুনানি হবে।কিন্তু শুনানি শেষ হতে না হতেই রাজভবন থেকে এক্স-এ পোস্ট করে জানানো হয়, আদালত মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে যে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করা যাবে না। অথচ আদালত এ দিন তেমন কোনও নির্দেশ দেয়নি। পোস্টটি করার কিছুক্ষণের মধ্যে অবশ্য মুছেও দেওয়া হয়।

এ দিন বেলা ১২.৫৯-এ রাজভবনের পোস্টটি ছিল প্রশ্নোত্তর আকারে। প্রশ্ন — ‘কলকাতা হাইকোর্ট কি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার বিরুদ্ধে কোনও আদেশ দিয়েছে?’ জবাব — ‘কলকাতা হাইকোর্ট মৌখিক ভাবে নির্দেশ দিয়েছে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করা যাবে না।’

আরও লেখা হয় — রাজ্যপালের আইনজীবীর কাছ থেকে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে যে মানহানির মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। মামলার আবেদন সোমবার শোনা হবে। আদালত মৌখিক ভাবে জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করা যাবে না।

কোর্টে তা হলে এ দিন কী হয়েছিল? বিচারপতি জানান, আগামী সোমবার সকাল ১০.৩০টায় মামলার পরবর্তী শুনানি। এখনও পর্যন্ত এতে নতুন করে কাউকে পার্টি হিসেবে যুক্ত করা হয়নি। রাজ্যপালের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদীর বক্তব্য, ‘সংবাদমাধ্যমের কাউকে যুক্ত না-করেই তিনি (তাঁর মক্কেল) এই মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্যান্ডোরার বাক্স খুলতে পারবেন।’ তাই তাঁরা নতুন করে কাউকে পার্টি হিসেবে যুক্ত করছেন না।

আগের শুনানিতে সংবাদমাধ্যমকে যুক্ত করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি কৃষ্ণা রাও। কিন্তু এ দিন রাজ্যপালের আইনজীবীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তার আপাতত প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়েছেন বিচারপতি। ধীরজ অবশ্য আবেদন জানিয়েছিলেন যাতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য আর করা না হয়।

কিন্তু বিচারপতি এ বিষয়েও কোনও নির্দেশ দেননি। তা হলে কীসের ভিত্তিতে রাজভবন ওই পোস্ট করল, কেনই বা সরিয়ে নেওয়া হলো, স্বাভাবিক ভাবেই সে সব প্রশ্ন উঠছে। রাজভবন থেকে অবশ্য আর কোনও মন্তব্য করা হয়নি। নতুন করে এ সংক্রান্ত কোনও পোস্টও করা হয়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version