বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট প্রায় প্রত্যেকেরই আছে। আর সেই অ্যাকাউন্টে অবিরত বিভিন্ন ধরনের ছবি, ভিডিয়ো শেয়ার করে চলেছেন ইউজাররা। এমনকী একের পর এক রিল তৈরি করেও আপলোড করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকউন্টে। উদ্দেশ্য একটাই, ভিউ ও ফলোয়ার বৃদ্ধি। আর এবার সেই রিলই ডেকে আনল চরম পরিণতি। স্ত্রী রিল বানানো বন্ধ না করায় স্বামী আত্মহত্যা করলেন বলে অভিযোগ। মৃতের নাম সঞ্জিত গোস্বামী (৪৩)। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেদিনীপুর শহরে।জানা গিয়েছে, বিভিন্ন রিল তৈরি করে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করতেন ওই গৃহবধূ। আর এই নিয়ে স্বামী সঞ্জিতের সঙ্গে প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত। সেই অশান্তিই ব্যাপক আকার ধারণ করে গত বুধবার রাতে। এমনকী মহিলা সরাসরি স্বামীকে জানিয়ে দেন, কোনওভাবেই রিল তৈরি বন্ধ করবেন না তিনি। অভিযোগ, স্ত্রীয়ের এমন উত্তর শোনার পরেই মনের দুঃখে গভীর রাতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন স্বামী। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মর্গে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়। ঘটনায় শোকের ছায়া গোটা পরিবারে।

পরিবার সূত্রে খবর, ১৮ বছরের বিবাহিত জীবন ছিল ওই দম্পতির। তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে। কিন্তু ওই গৃহবধূর রিল তৈরির অভ্যাসকে ঘিরেই পরিবারে অশান্তির সূত্রপাত। সাম্প্রতিককালে নানা ধরনের রিল ও ভিডিয়ো তৈরি করে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করা একপ্রকার ‘নেশা’ হয়ে দাঁড়িয়েছিল ওই গৃহবধূর। এদিকে দুই সন্তানও বড় হচ্ছে। স্বামীরও এতে চরম আপত্তি। সব মিলিয়ে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত পরিবারে, যা চরমে পৌঁছয় বুধবার রাতে। এরপরেই চরম সিদ্ধান্ত নেন সঞ্জিত।

বুধবার গভীর রাতে গলায় দড়ি দেওয়ার পর ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয় তাঁর। ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্রে করে নানা প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে বিভিন্নমহল থেকে।

উল্লেখ্য, এর আগে রিল বানাতে গিয়ে রাজ্যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত এপ্রিল মাসে প্রখর রোদে দাঁড়িয়ে রিল তৈরির সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে মৃত্যু হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের এক কিশোরীর। আর এবার রিলকে কেন্দ্র করে ঘটে গেল আত্মহত্যার ঘটনা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version