এই সময়, বারুইপুর: বর্ষা নেমে গিয়েছে। প্রতিবারই জমা জলে এই সময়ে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে অনেকেই ডেঙ্গি ছড়ানোর ক্ষেত্রে থানা চত্বরগুলির নোংরা পরিবেশকে দায়ী করে থাকেন। তা অজানা নয় পুলিশ কর্তাদেরও। এ বার বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পরেশচন্দ্র ঢালি থানা চত্বর পরিষ্কারে উদ্যোগ নিলেন। রবিবার থেকে তিনি শুরু করেছেন এই পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি।বারুইপুর পুলিশ জেলার মধ্যে ১৫টি থানা রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি মহিলা থানা। সম্প্রতি একযোগে সমস্ত থানা চত্বরে শুরু হয়েছে নোংরা ও আবর্জনা পরিষ্কার অভিযান। এমনিতেই প্রায় প্রতিটি থানা চত্বরে রয়েছে একাধিক দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি, মোটরবাইক। সেই সব গাড়িতে জল জমে। চারপাশে আগাছা গজিয়ে ওঠে। অন্যান্য জিনিসপত্রও রাখা থাকে। সেখানেও জমে জল। এ সবই মশার আঁতুড়ঘর। যা পুরসভার সাফাইকর্মী কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীদের নজরের বাইরে থেকে যায়। ফলে সেখান থেকে মশার বংশবিস্তারের আশঙ্কা থেকেই যায়।

যা সবচেয়ে বিপদ ডেকে আনে পুলিশের জন্যেই। কারণ ২৪ ঘন্টাই থানায় অফিসার ও পুলিশকর্মীরা থাকেন। তেমনই থাকার পুলিশের ব্যারাকেও তাঁদের বসবাস। তাই থানা চত্বরে ডেঙ্গির মশা থাকলে বিপদ সবচেয়ে বেশি পুলিশেরই। এ বার তাই বারুইপুরের পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালির নির্দেশে থানা চত্বর পরিষ্কারে বাড়তি নজরদারি শুরু হয়েছে। রবিবার বারুইপুর থানা চত্বরে নিজে হাতেই আগাছা পরিষ্কার করেন পুলিশ সুপার। সেই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা দুর্ঘটনাগ্রস্থ গাড়িগুলি সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়।

রবিবারের সেই অভিযানে পুলিশ সুপারের সঙ্গে ছিলেন বারুইপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) রূপান্তর সেনগুপ্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) সৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় ও বারুইপুর পুরসভার উপপুরপ্রধান গৌতমকুমার দাস।

ডেঙ্গি রুখতে জমির আবর্জনা পরিষ্কারের নির্দেশ প্রশাসনের

পরে পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বর্ষাকালে টানা বৃষ্টিতে জল জমে। তা থেকে ডেঙ্গির মশার জন্ম হয়। তাই ডেঙ্গির প্রকোপ কমাতে বারুইপুর জেলা পুলিশের আওতাধীন সমস্ত থানাগুলিতে সাফাই অভিযান শুরু হয়েছে। খেয়াল রাখা হচ্ছে জল যাতে জমতে না পারে।’

ধারাবাহিক ভাবেই এই পরিষ্কার অভিযান চলবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বারুইপুর পুরসভার উপপুরপ্রধান গৌতমকুমার দাস বলেন, ‘বারুইপুর জেলা পুলিশ যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version