আড়িয়াদহকাণ্ডকে ঘিরে ইতিমধ্যেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। আড়িয়াদহ তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবে এর আগে সিল করে দেয় পুলিশ। কিন্তু এবার সেই সিলই কেউ বা কারা খুলে দিয়েছে বলে অভিযোগ। যার জেরে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। খবর পেয়ে পুনরায় সেই ক্লাব সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা হটাৎই দেখতে পান ক্লাবের ভিতরে আলো জ্বলছে। সিল করা ক্লাবের ভিতরে আলো দেখে রীতিমতো হইচই পড়ে যায় এলাকায়। এরপরই কোনওভাবে ঘটনার খবর যায় পুলিশের কাছে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে, গালা দিয়ে করা ওই সিল কেউ বা কারা ভেঙে দিয়েছে। এরপরেই ফের ওই ক্লাব সিল করে দেওয়া হয়। কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটাল, সেই বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এক্ষেত্রে, ক্লাবের ভিতরে থাকা কোনওরকম প্রমাণ লোপাটের জন্যই ওই সিল ভাঙা হয়েছে কি না, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়।

উল্লেখ্য, প্রথমে মা ও ছেলেকে রাস্তায় ফেলে মারধর এবং তারপর একের পর এক নির্মম অত্যাচারের ভিডিয়ো সামনে আসায় রাতারাতি আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে আড়িয়াদহ তালতলা স্পোর্টিং ক্লাব। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই নাম জড়ায় জয়ন্ত সিং ওরফে ‘জায়ান্ট’ ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ‘জায়ান্ট’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি সিল করে দেওয়া হয় ওই ক্লাবও।

দিনকয়েক আগে ‘জায়ান্ট’ ও তার দুই সঙ্গী প্রসেনজিৎ দাস ওরফে লাল্টু এবং সুদীপ সাহা ওরফে গুড্ডুকে নিয়ে তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবে হাজির হয় পুলিশ। নেতৃত্বে ছিলেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (বেলঘরিয়া) শ্রীমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিন জনকে ক্লাবের মধ্যে ঢুকিয়ে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় পুলিশ। ক্লাবের ভিতরেই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ক্লাবে কী ধরনের আড্ডা চলত, সালিশি সভা কী ভাবে করা হত, সেই সমস্ত বিষয়ে জানতে চায় পুলিশ। ক্লাবের ভিতর থেকে দু’টি লোহার রড এবং একটি ব্যাট উদ্ধার করে নিয়ে যান পুলিশ কর্মীরা। সূত্রের খবর, সেগুলি দিয়েই সালিশি সভায় মারধর করা হত বলে পুলিশকে জানায় অভিযুক্তরা। তারপরেই সিল করা হয় ওই ক্লাব।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version