সাধারণ মানুষের মতামতও নিতে পারবে এই কমিটি। তিন মাসের মধ্যে এই কমিটি তাদের রিপোর্ট জমা দেবে। এই কমিটির কাজ কী হবে, বিজ্ঞপ্তিতে তাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। নতুন ফৌজদারি আইনে রাজ্যভিত্তিক কোনও সংশোধনী প্রয়োজন কি না এবং নতুন আইনের নাম রাজ্য স্তরে বদলের দরকার কি না, তা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। পাশাপাশি এই সংক্রান্ত আরও সংশ্লিষ্ট কোনও বিষয়ও মনে হলে বিবেচনা করতে পারবে কমিটি।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম—এই তিন নতুন আইন ও কার্যবিধি এত তাড়াহুড়ো করে কার্যকর করে দেওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল রাজ্যের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনিয়ে একাধিকবার চিঠিও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। আরও আলোচনা করে এবং প্রস্তুতি নিয়ে যাতে আইন কার্যকর করা যায়, সেই অনুরোধও জানিয়েছিলেন।
পাশাপাশি আইনের নামকরণ হিন্দিতে করা নিয়েও আপত্তি ছিল তৃণমূল-সহ একাধিক বিরোধী দলের। যদিও তাতে কর্ণপাত করেনি মোদী সরকার। ১ জুলাই থেকে দেশজুড়ে চালু হয়ে গিয়েছে নতুন ফৌজদারি আইন। এই আইনের বিরোধিতায় রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব আনার কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্ভবত বিধানসভার আসন্ন অধিবেশনেই এই প্রস্তাব আনা হতে পারে।
তার আগে এই কমিটি গড়ার উদ্যোগ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলের। রাজ্য প্রশাসনের এক বর্ষীয়ান আধিকারিকের ব্যাখ্যা, এই ধরনের আইনের ক্ষেত্রে কোনও রাজ্য সংবিধান মেনে তার প্রয়োজন ও প্রেক্ষিত অনুযায়ী কোনও ধারায় সংশোধন করতে পারে। তবে বিধানসভায় সেই বিল পাশ করানোর পরে তাতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন বাধ্যতামূলক ভাবে প্রয়োজন।
এর আগে তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার নতুন ফৌজদারি আইনের সংশোধনীর প্রয়োজন আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে সেখানকার এক প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গঠন করেছে। কর্নাটকে সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারও সংশোধনী আনার কথা বলেছে কিছুদিন আগেই। ফলে নতুন দণ্ড সংহিতা কার্যকর হওয়ার পরেই যে মোদী সরকার অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি থেকে প্রতিরোধের মুখে পড়ল, সন্দেহ নেই।