কলকাতার দক্ষিণে গড়িয়া, টালিগঞ্জ, পাটুলি, বেহালা, নিউ আলিপুর, উত্তরে বরাহনগর, বি টি রোড, দমদম, নাগেরবাজার, পূর্বে সল্টলেক, নিউ টাউন লাগোয়া সাপুরজি বাসস্ট্যান্ড ছুঁয়ে চলা বিভিন্ন রুটের প্রায় সব বাসই তুলে নেওয়া হচ্ছে। পিছিয়ে নেই মিনিবাসও। খিদিরপুর, মেটিয়াবুরুজ, বেহালা, নাকতলা, গড়িয়া স্টেশন হয়ে বিভিন্ন রুটে চলা মিনিবাসও প্রায় সবই তুলে নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শহর ও শহরতলির এলাকা অনুযায়ী ৬০-৮০ শতাংশ বাস-মিনিবাস সভার জন্য নেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট যে বাসগুলি থাকবে যান জট ও রাস্তা বন্ধ থাকার জন্য সেগুলিরও রাস্তায় নামার সম্ভাবনা কম। উত্তরবঙ্গ থেকেও বাস আসছে। ফলে সেখানকার জেলাগুলিতে তার প্রভাব আগেই পড়তে শুরু করেছে।
তার উপরে এক জেলার বাস অন্য জেলায় নেওয়ার প্রতিযোগিতার ফলে শুক্রবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের জেলা গুলিতে বাস চলাচলে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। দুই মেদিনীপুর, হুগলির আরামবাগ-তারকেশ্বর, পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়ার মধ্যে বাস কমে যাওয়ায় কিছুটা সমস্যা হয়। বাস মালিকদের অন্য একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুরে কলকাতা স্টেশনে প্রায় ৩০০ বাস ছিল।
উত্তরের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রেনে কলকাতা পৌঁছনো কর্মী-সমর্থকদের শহরের নির্দিষ্ট থাকার জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ওই বাসগুলি কাজে লাগানো হয়।