এই সময়, তারকেশ্বর: গত দু’বছর ধরে বন্ধ পানীয় জল। অন্য জায়গা থেকে জল এনে খেতে হয়। এ দিকে, জলের আশ্বাস দিয়েই নেতা-নেত্রীরা ভোট চান। কিন্তু তার পর আর কোনও কাজ হয় না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তারকেশ্বরের কেশবচক গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েকশো পরিবার জলকষ্টে ভুগছেন। অতীতে রাষ্ট্রপতির কাছে নির্মল গ্রাম পঞ্চায়েতের শংসাপত্র পাওয়া এলাকার মানুষই এখন পানীয় জল পাচ্ছেন না।গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ২০১৯ সালে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে প্রায় তিন হাজার টাকার বিনিময়ে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের পাইপ পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। বসানো হয়েছিল ট্যাপ কল। এখন কলগুলি থাকলেও তা দিয়ে জল পড়ে না। প্রথম প্রথম কয়েক মাস জল পেলেও পরে অজানা কারণে বন্ধ হয়ে যায় জল। যদিও সেই সময় বিনামূল্যে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পরিষেবা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

২০২২ সাল পর্যন্ত কোনও রকমে জলের পরিষেবা পেলেও গত দু’বছর পানীয় জল পুরোপুরি বন্ধ এই গ্রামে। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত পানীয় জলের সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পানীয় জল পরিষেবার পরিকাঠামো উন্নত না করেই কেন জলের সংযোগ দেওয়া হলো, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও পঞ্চায়েতের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করে বাড়ি বাড়ি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত পরিকাঠামোও তৈরি করা হচ্ছে।

কেশবচক গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতাসীন সিপিএম। পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএম নেত্রী তপতী কুণ্ডু বলেন, ‘আমার এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানীয় জলের পরিষবা থেকে বঞ্চিত। এলাকায় দু’টি পাম্প আছে। কিন্তু জলের ট্যাঙ্কের বেশি জল ধারণের ক্ষমতা নেই। গ্রামবাসীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় বেশ কিছু জায়গায় জল পৌঁছচ্ছে না। তবে খুব তাড়াতাড়ি পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে।’

২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে বামেদের দখলে যায় এই পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত ভোটে জলের চাহিদা পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চেয়েছিল বামেরা। বামেদের প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থা থাকলেও বাস্তবে পূরণ হয়নি বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগের পাশাপাশি কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানীয় জলের পরিষেবা পাচ্ছে না বলে স্বীকার করে তারকেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি প্রদীপ সিংহ রায় বলেন, ‘খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version