২০২২ সাল পর্যন্ত কোনও রকমে জলের পরিষেবা পেলেও গত দু’বছর পানীয় জল পুরোপুরি বন্ধ এই গ্রামে। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত পানীয় জলের সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পানীয় জল পরিষেবার পরিকাঠামো উন্নত না করেই কেন জলের সংযোগ দেওয়া হলো, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও পঞ্চায়েতের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করে বাড়ি বাড়ি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত পরিকাঠামোও তৈরি করা হচ্ছে।
কেশবচক গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতাসীন সিপিএম। পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএম নেত্রী তপতী কুণ্ডু বলেন, ‘আমার এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানীয় জলের পরিষবা থেকে বঞ্চিত। এলাকায় দু’টি পাম্প আছে। কিন্তু জলের ট্যাঙ্কের বেশি জল ধারণের ক্ষমতা নেই। গ্রামবাসীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় বেশ কিছু জায়গায় জল পৌঁছচ্ছে না। তবে খুব তাড়াতাড়ি পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে।’
২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে বামেদের দখলে যায় এই পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েত ভোটে জলের চাহিদা পূরণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চেয়েছিল বামেরা। বামেদের প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থা থাকলেও বাস্তবে পূরণ হয়নি বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগের পাশাপাশি কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ পানীয় জলের পরিষেবা পাচ্ছে না বলে স্বীকার করে তারকেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি প্রদীপ সিংহ রায় বলেন, ‘খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’