প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির ধর্মঘটের জেরে বাজার থেকে প্রায় উধাও হতে চলেছে আলু। সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে ধর্মঘট। আলু না থাকায় রাজ্য জুড়েই বাজারগুলোতে ইতিমধ্যে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আলুর দাম আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা।কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, যেখানে পূর্ব বর্ধমান জেলায় গড়ে প্রতিদিন ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ প্যাকেট আলু হিমঘর থেকে বের হয়। সেখানে শুধুমাত্র কৃষকদের রাখা খাবারের আলু কয়েক বস্তা করে বের হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আলু হিমঘর থেকে বের না করায় কার্যত হিমঘরের শেডগুলি খালি পড়ে আছে। বর্ধমানের সতীমা হিমঘর থেকে দিনে গড়ে ১২০০ প্যাকেট আলু প্রতিদিন বের হয়। ধর্মঘটের জেরে কোল্ড স্টোরেজ খোলা থাকলেও এক বস্তা আলু আজকে হিমঘর থেকে ব্যবসায়ীরা বের করেনি।

ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, বেআইনিভাবে আলুর গাড়ি আটকানো হচ্ছে। তাই ধর্মঘটের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে তাঁরা। ছোট ও মাঝারি আলু ভিন রাজ্যে মূলত বিহার, ঝাড়খণ্ডে বিক্রি হয়। কিন্তু, সেই আলু সীমানায় আটকে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। সরকারের সহযোগিতার দাবি করেছেন তাঁরা। আলুর এক আড়তদার লাল সাউ জানিয়েছেন, গড়ে ৫০ বস্তা করে আলু কিনে খুচরা ব্যবসায়ীদের বিক্রি করি। আজকে যে কয়টি প্যাকেট আলু ছিল তা দিয়ে আজকের বাজার কোনওমতে সামাল দিতে পারলেও ধর্মঘট না উঠলে আগামীকাল থেকে আলু বিক্রি করতে পারবো না। খুচরো আলু বিক্রেতা অমিত তালুকদার জানিয়েছেন, আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট চলছে। তাঁদের ধর্মঘট উঠলে বাজারে আলুর দাম স্বাভাবিক হবে। বাজারে আলু আসছে না, জোগান কম। ফলে গতকাল থেকে আজকে বস্তাপ্রতি ১৫শো টাকা আলুর দাম হয়েছে। কেজিতে ৩৩-৩৪ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।

আমজনতাকে স্বস্তি দিতে উদ্যোগ, প্রায় হাফ দামে সবজি মিলছে পূর্ব বর্ধমানে
খুচরো আলু ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এখন থেকে যেভাবে আলু ঢোকা বন্ধ হয়েছে তাতে দুই-একদিনের মধ্যে আরও দাম বাড়বে আলুর। সমিতির বর্ধমান সদর ইউনিটের সেক্রেটারি ও বর্ধমান জেলার সভাপতি উত্তম পাল জানাচ্ছেন, কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু ২৬-২৭ টাকা কিলো দরে যাচ্ছে। সেই আলু বাজারে ৩০ – ৩৫ টাকা কিলো দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এই বিষয়টি সরকারের নজর দেওয়া উচিত। একই অবস্থা বাঁকুড়া জেলাতেও। আলু ব্যবসায়ীদের ডাকা কর্মবিরতির জেরে বাঁকুড়ার হিমঘরগুলিও শুনশান। দেখা মেলেনি ব্যবসায়ীদের। আলুর বাছাই কাজের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত তাঁরাও সমস্যায় রয়েছেন। হিমঘর কর্তৃপক্ষ ও চাষিদের কথায় এই কর্মবিরতি চলতে থাকলে বড় সমস্যায় পড়বেন সকলে। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, ‘আলুর দাম হঠাৎ করেই বাজারে বেড়ে গিয়েছে। আমরা সকলকেই অনুরোধ করেছি, যাতে এরকম দাম না বাড়ানো হয়। সরকারি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতি নিয়ে নিশ্চয়ই আলোচনা করে একটা সমাধান বের করা হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version