এই সময়: তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ শেষ হতে না হতেই রবিবার সভা-চত্বর সাফাই অভিযানে নেমে পড়লেন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। পুর-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কঠিন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় আধঘণ্টার মধ্যে ধর্মতলা চত্বর থেকে যাবতীয় বর্জ্য সরানো হয়েছে। পুরো চত্বর সাফ হয়ে গিয়েছে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই।মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) স্বপন সমাদ্দার বলেন, ‘সভা শেষ হওয়ার পরেই ১০০ দিনের কর্মীরা সাফাইয়ের কাজ শুরু করে দেন। প্লাস্টিকের প্যাকেট, জলের বোতল-সহ যাবতীয় আবর্জনা পৃথকীকরণের কাজ শেষ করে করে ব্যাটারিচালিত গাড়িতে সে সব ধাপায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চের আশপাশ পরিষ্কার করতে প্রতি বছরই পর্যাপ্ত সংখ্যায় ব্যাটারিচালিত গাড়ি ও সাফাই কর্মীদের বন্দোবস্ত রাখে পুরসভা। এ বারও সেই ব্যবস্থা ছিল। পাশাপাশি খাবারের প্যাকেট, জলের গ্লাস, ফলের খোসা ফেলার জন্য সব মিলিয়ে দেড়শোর উপর ময়লা ফেলার কন্টেনার রাখা ছিল সভা-চত্বরে।

অনেকেই এ দিন মিছিল করে আসার পথে রান্না করেছেন। কেউ রান্না করে আনা খাবার বিলি করেছেন। যার জেরে ধর্মতলা চত্বরের পাশাপাশি শহরের অন্যান্য রাস্তাতেও কিছু বর্জ্য জমেছিল। সে সবও সন্ধে সাতটার মধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে জানান পুর-কর্তারা।

রাস্তা থেকে জঞ্জাল সাফাইয়ের জন্য এ দিন পাঁচটি মেকানিকাল সুইপারও ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া, প্রায় প্রতি বছরই একুশে জুলাই বৃষ্টি হয়। সে কথা মাথায় রেখে নিকাশি দপ্তরের কর্মীদেরও প্রস্তুত রাখা হয়। কঠিন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক আধিকারিক এ দিন বলেন, ‘টানা বৃষ্টি না হলেও দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। এমন অবস্থায় প্লাস্টিকের প্যাকেট সরানো না হলে নিকাশি নালার মুখ আটকে জল জমতে পারে। তাই এ বার কিছু বাড়তি লোকও রাখা হয়েছিল।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version