মাঠে ঢোকার মুখে ঢালাই রাস্তার পাশে রাখা ছিল বাইক৷ খেলা শেষে ফিরে দেখেন বাইক হাওয়া! খোঁজ খোঁজ পড়ে যায়। খেলা দেখতে আসা অনেকেই বাইক খুঁজতে থাকেন। মজার কথা, সেই ভিড়ে ছিল চিরঞ্জিতও। সে-ও বাইক খোঁজার দলে যোগ দেয়। তার আগেই অবশ্য কাজের কাজটি সেরে ফেলেছিল সে। চিরঞ্জিতকে গ্রেপ্তারের পরে পুলিশ জেনেছে, নিজের পুরোনো বাইক নিয়ে খেলা দেখতে গিয়েছিল সে।
খেলা চলার সময়েই মওকা বুঝে সুব্রতর নতুন বাইকের লক ভেঙে সেটি সরিয়ে ফেলে। কাছাকাছি এমন জায়গায় লুকিয়ে রাখে যেখানে সচরাচর কারও যাতায়াত নেই। সেখান থেকে ফিরে যায় মাঠে। সন্ধের পর চুরি করা বাইক নিয়ে কাটোয়া শহরে চেনাশোনা একজনের বাড়িতে যায়। বাড়ির মালিককে অবশ্য চুরির কথা ঘুণাক্ষরেও জানায়নি।
দিনে তিরিশ টাকা ভাড়ায় বাইক সেখানে রাখার বন্দোবস্ত করে। নিজের পুরোনো বাইকের নম্বর প্লেট খুলে লাগিয়ে দেয় চুরি করা নতুন বাইকে। রবিবার ছিল গুরুপূর্ণিমা। শুভ দিনে ‘শুভ কাজ’-এর উদ্দেশে মন্দির পৌঁছে বাইক পুজো সেরে জমিয়ে ভোগও খাচ্ছিল। কিন্তু কপাল মন্দ হলে যা হয়! গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মন্দিরে হাজির কাটোয়া থানার পুলিশও!
কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে পাকড়াও করে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। চিরঞ্জিতের কীর্তি জেনে পুলিশ অফিসাররাও বলছেন, ‘চোরাই বাইক নিয়ে ঘটা করে পুজো দিতে আসার ঘটনা — নাহ! মনে করতে পারছি না।’