এই সময়, কাটোয়া: ধর্মে সইল না? তা-ই হবে হয়তো… চকচকে নতুন বাইক চুরি করে মনটা খচখচ করছিল চোরের। আনকোরা নতুন বাইক পুজো না-দিয়েই চালাবে! তাই, সেই চোরাই বাইক নিয়েই হাজির হয় মন্দিরে। কিন্তু, খবর ছিল পুলিশের কাছেও। পুজোর পরে নিশ্চিন্তে ভোগ খাচ্ছিল চোর। তখনই বমাল গ্রেপ্তার। পুজো দেওয়াটাই কাল হল! উদ্ধার হয়েছে বাইক।চিরঞ্জিত বন্দ্যোপাধ্যায় নামে সেই চোর আপাতত শ্রীঘরে। আদালত তাকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে। ৮ জুলাই কাটোয়া থানায় বাইক চুরির অভিযোগ দায়ের করেন কাটোয়ার বাঁদরা গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত ঘোষ। পুলিশকে জানান, ৬ জুলাই রাতে নতুন বাইক নিয়ে স্থানীয় সুড্ডো গ্রামে ফুটবল ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন৷

মাঠে ঢোকার মুখে ঢালাই রাস্তার পাশে রাখা ছিল বাইক৷ খেলা শেষে ফিরে দেখেন বাইক হাওয়া! খোঁজ খোঁজ পড়ে যায়। খেলা দেখতে আসা অনেকেই বাইক খুঁজতে থাকেন। মজার কথা, সেই ভিড়ে ছিল চিরঞ্জিতও। সে-ও বাইক খোঁজার দলে যোগ দেয়। তার আগেই অবশ্য কাজের কাজটি সেরে ফেলেছিল সে। চিরঞ্জিতকে গ্রেপ্তারের পরে পুলিশ জেনেছে, নিজের পুরোনো বাইক নিয়ে খেলা দেখতে গিয়েছিল সে।

খেলা চলার সময়েই মওকা বুঝে সুব্রতর নতুন বাইকের লক ভেঙে সেটি সরিয়ে ফেলে। কাছাকাছি এমন জায়গায় লুকিয়ে রাখে যেখানে সচরাচর কারও যাতায়াত নেই। সেখান থেকে ফিরে যায় মাঠে। সন্ধের পর চুরি করা বাইক নিয়ে কাটোয়া শহরে চেনাশোনা একজনের বাড়িতে যায়। বাড়ির মালিককে অবশ্য চুরির কথা ঘুণাক্ষরেও জানায়নি।

চলন্ত বাইকে পুলিশের পকেট থেকে মোবাইল ছিনিয়ে চম্পট

দিনে তিরিশ টাকা ভাড়ায় বাইক সেখানে রাখার বন্দোবস্ত করে। নিজের পুরোনো বাইকের নম্বর প্লেট খুলে লাগিয়ে দেয় চুরি করা নতুন বাইকে। রবিবার ছিল গুরুপূর্ণিমা। শুভ দিনে ‘শুভ কাজ’-এর উদ্দেশে মন্দির পৌঁছে বাইক পুজো সেরে জমিয়ে ভোগও খাচ্ছিল। কিন্তু কপাল মন্দ হলে যা হয়! গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মন্দিরে হাজির কাটোয়া থানার পুলিশও!

কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে পাকড়াও করে ফেলেন পুলিশকর্মীরা। চিরঞ্জিতের কীর্তি জেনে পুলিশ অফিসাররাও বলছেন, ‘চোরাই বাইক নিয়ে ঘটা করে পুজো দিতে আসার ঘটনা — নাহ! মনে করতে পারছি না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version