বাঙালির অতি প্রিয় সবজির মধ্যে অন্যতম আলু। দৈনন্দিন জীবনে বাঙালির পাতে যে ব্যঞ্জন থাকে, তার বেশিরভাগ পদেই আলু আবশ্যিক। সেই আলুর আকাল বাজার জুড়ে। চন্দ্রমুখীর দেখা নেই, কমতে শুরু করেছে জ্যোতি আলুর সংখ্যাও। ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের ফলে হু হু করে বাড়ছে আলুর দামও।প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির কর্ম বিরতির আজ, মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিন। চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকায় দাম বাড়ছে আলুর বলে মত ব্যবসায়ীদের। গতকাল পর্যন্ত জ্যোতি আলু বিক্রি হয়েছে ৩২- ৩৩ টাকা কিলো। আজ জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কিলো দরে। চন্দ্রমুখী আলু কেজি প্রতি দু টাকা বেড়ে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পাইকারি বাজারে আলুর আকাল দেখা দিয়েছে। ৫০ কেজি ওজনের বস্তায় ১০০-১৫০ টাকা বেড়ে আলুর দাম দাঁড়িয়েছে ১৬০০-১৬৫০ টাকা বস্তা। আলুর আড়ত থেকে কেনাই পড়ছে ৩২ টাকার বেশি। পচা কাটপিস ছোটো বাদ দিয়ে সেই আলু ৩৫ টাকা কিলো দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। রাজ্যের পাঁচশোর বেশি হিমঘর থেকে আলু বেরোনো বন্ধ রয়েছে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির ঢাকা কর্মবিরতির ফলে।

হুগলি জেলায় শুধুমাত্র সিঙ্গুরের আড়তগুলোতে আলু ঝাড়াই-বাছাই এবং বিক্রি চলছে। আর সেখানেই ভিড় জমাচ্ছেন বাইরে থেকে আসা ক্রেতারা। প্রদীপ কুন্ডু নামে এক পাইকারি ক্রেতা জানান, আমি রানাঘাট থেকে আলু কিনতে সিঙ্গুরে এসেছি। রানাঘাটের বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই দিই। অন্যান্য জায়গায় বন্ধ তবে এখানে চাহিদা থাকায় প্রয়োজন মত পাওয়া যাচ্ছে না। গত কালকে থেকে আজকে এখানে ৭০ থেকে ৮০ টাকা বেশি দাম বস্তায়।

প্রগতিশীল আলু ব্যবসায় সমিতির সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সরকারি তরফে এখনও পর্যন্ত আমাদের ডেকে আলোচনা করা হয়নি। আলোচনায় বসার জন্য সরকারি দপ্তরের মন্ত্রীকে আমরা সমস্যা সমাধানের জন্য লিখিতভাবে জানিয়েছি।’ তাঁর কথায়, যদিও এখনও পর্যন্ত তার কোন উত্তর আসেনি। আজ দ্বিতীয় দিনে কর্মবিরতি চলছে। দাম বৃদ্ধি আমাদের মোটেই কাম্য নয়, দাম সীথবস্থায় থাকুক এটা আমরাও চাই। যদিও সিঙ্গুরের বেশ কিছু জায়গায় আলুর আড়ত খোলা রয়েছে। সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হিমঘর থেকে আমরা আলু সরবরাহ করছি না তবে বিক্ষিপ্তভাবে কোথাও হতে পারে।

ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের জেরে বাড়ছে সঙ্কট, রাজ্যে মহার্ঘ হবে আলু?
বাঁকুড়ার বিভিন্ন বাজারে আলুর দাম এক ধাক্কায় কিলো প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০টাকা। এইভাবে কর্মবিরতির চলতে থাকলে খুচরো বাজারে আলুর দাম আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষ থেকে খুচরো ব্যবসায়ীরা। আলু ব্যবসায়ীদের কর্মবিরতির জেরে বিপাকে পড়েছেন হিমঘর মালিক থেকে ক্ষুদ্র আলু চাষীরাও। সর্বোপরি নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্ত বাঙালির।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version