হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত এক মাস ধরে হাওড়া জেলা হাসপাতালে পূর্ত দপ্তর থেকে মেরামতির কাজ চলছে। সে কারণে ভাড়া বাধাও আছে। কিন্তু জাল দিয়ে ঘেরা ছিল না। জরুরি বিভাগের গেটের সামনে যেখানে চাঙর ভেঙে পড়েছে, সেখানে অ্যাম্বুলেন্স থেকে রোগীদের নামানো হয়। ফলে বড়সড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ছিল। এমনটাই মনে করছেন রোগীর আত্মীয়রা।
তবে এই ঘটনার পর হাসপাতালের মূল গেটের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কিশলয় দত্ত জানিয়েছেন, রোগীর চিকিৎসা বন্ধ না করে হাসপাতালে মেরামতির কাজ চলছে। এ ব্যাপারে তিনি পূর্ত দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে চিঠি লিখেছেন। কাজের সময় দুর্ঘটনা এড়াতে যাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে ব্যাপারে তিনি তাদের বলেছেন। এরকম ঘটনায় যাতে আর না ঘটে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা এক রোগীর পরিজন বলেন, ‘আমরা জরুরি বিভাগের কিছুটা তফাতে ছিলাম। ওখানে ভাড়া বেঁধে কাজ চলছে। হঠাৎ করেই জোরে শব্দ পেলাম। তাকিয়ে দেখিয়ে উপর থেকে কার্নিশের একটা অংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল। ভাগ্যিস, ওখান কেউ দাঁড়িয়ে ছিল না। না হলে বড় বিপদ ঘটতে পারতো।’ এই ঘটনার কিছুক্ষনের মধ্যেই অবশ্য নির্মীয়মান অংশটিতে জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।