রণজয় সিংহ: দিনে দুপুরে সমবায় সমিতিতে ডাকাতি। ঘটনা মালদহের গাজোলের কেষ্টপুর সমবায় সমিতির। গুলিবিদ্ধ ব্যাংক ক্যাশিয়ার। পেটে গুলি লেগেছে ক্যাশিয়ারের। আহতকে গাজোল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তড়িঘড়ি তাঁকে রেফার করা হয় মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। জানা যাচ্ছে ৭-৮ জন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ব্যাঙ্কে ঢুকে পড়ে। প্রায় ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় ডাকাতরা। দুষ্কৃতীদের পিছু নেয় পুলিস। জানা যাচ্ছে গুলিবিদ্ধ ব্যাঙ্ক ক্যাশিয়ারের নাম যোগেশ্বর মন্ডল। বয়স ৩৫, বাড়ি শিক্ষক পল্লী এলাকায়।

আরও পড়ুন-শিশুদের জন্য কেন্দ্র আনছে নতুন পেনশন প্রকল্প বাত্সল্য

ব্যাঙ্ক কর্মীর পেটে গুলি করার পাশাপাশি অন্যান্য কর্মীদের মারধরের পর লক্ষাধিক টাকা লুঠ করে পালাল সশস্ত্র ডাকাত দল। বুধবার দুপুরে এমন ডাকাতির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গাজোল থানার কৃষ্ণপুর এলাকায় । ব্যাঙ্কের এক মহিলা পদস্থ কর্মী জানিয়েছেন , ৭-৮ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল হাতে বন্দুক নিয়ে ব্যাঙ্কের ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর কয়েকজন কর্মীকে এলোপাথারি মারধরের পর, ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ারের পেটে গুলি চালায়। তারপরে ছয় লক্ষ টাকা লুঠ করে পালিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গাজোল থানার পুলিস।

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ব্যাংক কর্মীর নাম যোগেশ্বর মন্ডল (৩২) । দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলি তার পেটের ডান দিকে লেগেছে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করানো হয়েছে। এই ঘটনায় দুষ্কৃতীদের হামলায় আরো দুইজন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কর্মীও আঘাত পেয়েছেন । যদিও তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
 
ব্যাঙ্ক কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিস জানতে পেরেছে, এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ সাত থেকে আটজনের সশস্ত্র একটি দুষ্কৃতীর দল আচমকা কৃষ্ণপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ব্যাঙ্কে ঢুকে পড়ে। তাদের অধিকাংশের হাতেই ধারালো অস্ত্র এবং বন্দুক ছিল । মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিল । প্রত্যকের চোখে কালো চশমা ছিল। বেশিরভাগ দুষ্কৃতী হিন্দি ভাষায় কথা বলছিল। এরপরই ব্যাংকের টাকা লুঠ শুরু করতেই বাধা দেন ক্যাশিয়ার যোগেশ্বরবাবু । তখন তাকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। গুলির বিকট শব্দে রীতিমতো হৈচৈ পড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে দুষ্কৃতীরা প্রায় ৬ লক্ষ্য টাকা লুঠ করে  । এরপরে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। দুষ্কৃতীরা পালাবার সময়ও শূন্যে গুলি ছুঁড়ে বলে অভিযোগ। এদিকে এই ঘটনার পর গাজোল থানার বিশাল পুলিস বাহিনী তদন্তে পৌঁছায়।

ব্যাঙ্কের সুপারভাইজার অনিতা সরকার বলেন, সাধারণ গ্রাহকেরাও প্রতিদিনই এখানে টাকা জমা দিতে আসেন। এই ব্যাঙ্কে প্রতিদিনই অনেক টাকা লেনদেন হয়। এমন ঘটনা কোনদিন আগে ঘটেনি। যারা ডাকাতি করেছে, তারা হিন্দি ভাষায় কথা বলছিল। আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়েই মারমুখী হয়েছিল। প্রাণভয়ে আমরা সবাই হাত তুলে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এরই মধ্যে ব্যাংকের ক্যাশিয়ারকে গুলি করে  দুষ্কৃতীরা। তারপর এই ব্যাংক থেকে ছয় লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

মালদার পুলিস সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ধরে দুষ্কৃতীদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি জেলা জুড়ে নাকা চেকিং শুরু করা হয়েছে।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version