এনজিটি-র বিচারপতি বি অমিত স্থালেকর এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য অরুণ কুমার ভার্মার নির্দেশ, প্রকল্প রিপোর্ট যেহেতু তৈরিই রয়েছে, তাই সব পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ শুরু করে ফেলতে হবে। পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর জানিয়েছে, কেএমডিএ এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মধ্যে জমির লিজ় সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে। রেল ১৪ হাজার ৯৬২ বর্গমিটার জায়গা কেএমডিএ-কে দিয়েছে।
৩৫ বছরের লিজ়ের জন্য কেএমডিএ রেলকে জমির লাইসেন্স ফি হিসাবে ২ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা দিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ওই জমির জন্য ১ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা লাইসেন্স ফি দাবি করা হয়েছিল। পুর দপ্তর লাইসেন্স ফি-র পুরোটাই মকুব করার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিল। রেল জানায়, লাইসেন্স ফি পুরো মকুব করা যাবে না। আদালত জানিয়েছিল, দামের জন্য যেন প্রকল্প দীর্ঘায়িত না হয়।
হাওড়া পুরসভা এবং আশপাশের এলাকার কঠিন এবং তরল বর্জ্য সরাসরি এসে মেশে ঝিলের জলে। ফলে বিষিয়ে যাচ্ছে ঝিলের জল। সেটা বন্ধ করতে ঝিলের চারপাশে ‘গারল্যান্ড ড্রেন’ তৈরি করতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সেই নিকাশি নালার তরল বর্জ্য ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে ফেলে পরিশুদ্ধ করে ফেলা হবে ঝিলে।
পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর আগেই ২৯ কোটি টাকার এই প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করে ফেলেছিল। অর্থ দপ্তরের থেকে অনুমোদনও মিলেছে। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হলেই ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যু হবে। ঠিক কবে কাজ শেষ হবে, তার সময়সীমা অবশ্য হলফনামায় উল্লেখ নেই।