এই সময়: রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হতে গেলে প্রার্থীদের বয়সসীমা কী হবে–তা নিয়ে ধন্দে পড়েছেন শিক্ষাবিদরা। সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত সিলেকশন কমিটির চেয়ারপার্সনের নির্দেশে উচ্চশিক্ষা দপ্তর শুক্রবার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে রাজ্যের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাতে উপাচার্য পদে আবেদনকারীদের বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ১০ বছর অধ্যাপক হিসাবে অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে।১০ বছর প্রফেসর পদে কর্মরত থাকার প্রমাণপত্রও দিতে বলা হয়েছে আবেদনকারীকে। কিন্তু বয়সসীমার উল্লেখ নেই ওই বিজ্ঞপ্তিতে। এখানেই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটির ৬৭ জন সদস্যের সঙ্গে রবিবার ও সোমবার বৈঠকে বসেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত সিলেকশন কমিটির চেয়ারপার্সন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত।

দ্য এডুকেশনিস্ট ফোরামের এক পদাধিকারী প্রথম দিনই উপাচার্য পদে আবেদনের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা শীর্ষ আদালত নির্ধারিত ৬৫ বছরের পরিবর্তে আরও পাঁচ বছর বাড়াতে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তাঁকে সমর্থন করেন স্বশাসিত সংস্থার সভাপতি তথা শহরতলির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহউপাচার্য। সোমবারের বৈঠকেও একই দাবি তুলেছিলেন রাজ্য নিযুক্ত সার্চ কমিটির একাধিক সদস্য।

তাঁদের যুক্তি, ২০১৯-এর দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি লজ (অ্যামেডমেন্ট) অ্যাক্ট অনুযায়ী, তিনটি বাদে ৩৩টি বিশ্ববিদ্যালয়েই উপাচার্যদের বয়সসীমা ৭০ বছর। তবে সংবাদমাধ্যমে এ দিন প্রকাশিত বিজ্ঞাপন অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ট্যাটুট ও রেগুলেশন দেখেই আবেদন করতে বলা হয়েছে উপাচর্য বা ভিসি হতে ইচ্ছুকদের। স্থায়ী উপাচার্য পদে আবেদনের শেষ দিন ধার্য হয়েছে ২৩ অগস্ট।

বিভিন্ন রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও প্রবীণ অধ্যাপকদের বক্তব্য, কলকাতা, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী, বর্ধমান, কল্যাণী, উত্তরবঙ্গ, বিদ্যাসাগর-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ২০১১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বিধানসভায় বার বার সংশোধন করা হলেও স্ট্যাটুট ও বিধিতে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ফলে উপাচার্য পদে আবেদনের বয়সের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স ৬৫ বছরই রয়ে গিয়েছে।

ভিসি হতে চেয়ে কমিটি থেকে অব্যাহতির আর্জি, বৈঠকে প্রাক্তন সিজেআই

সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও ৮ জুলাইয়ের নির্দেশে বলেছিল, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিধির নিরিখে আচার্য নিযুক্ত উপাচার্যরা সর্বোচ্চ ৬৫ বছর পর্যন্ত পদে থাকতে পারেন বলেই দেখা যাচ্ছে। এ দিকে, ২০১৯ সালের আইনে বলা হয়েছিল, স্থায়ী উপাচার্যর মেয়াদ চার বছরের। এই সময়ে তাঁর ভূমিকা সন্তোষজনক হলে তিনি আরও একটি মেয়াদের জন্যে বিবেচিত হতে পারেন।

তবে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চার-চার জন উপাচার্য এর আগে ৬৫ বছর মেয়াদের পর অস্থায়ী ভাবে ৬৬, ৬৭ এবং ৬৯ বছর পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version