আধার কার্ড সহ অন্যান্য আইডেন্টিটি কার্ড ব্যবহার করে চলত জালিয়াতি। অন্যের আধার কার্ড ব্যবহার করে ইএমআই সিস্টেমে কেনা হতো বাইক, এসি সহ নানা সরঞ্জাম কেনা হতো। এরপর কিস্তির টাকা শোধ দেওয়া হতো না। কিস্তি না দিলেই ব্যাঙ্কের চিঠি গিয়ে পৌঁছত আধার কার্ড হোল্ডারের কাছে। এরকমই প্রতারণা চলছিল অশোকনগর এলাকায়। ঘটনায় গ্রেফতার এক মহিলা সহ মোট তিনজন।যে কেউ চাইলেই দিয়ে দিচ্ছেন আধার কার্ড? জানেন কী বড় বিপদে পড়তে পারেন আপনিও! এমনই এক প্রতারণার শিকার হলেন অশোকনগর থানা এলাকায় বান্ধব পল্লীর বাসিন্দা সুজিত দাস। প্রতারিত হয়ে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অশোকনগর থানায়। এরপরেই তদন্তে নেমে পুলিশ মহিলা সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করে। স্থানীয় একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালান সুজিত দাস। অথচ, তাঁর আধার ও ভোটার কার্ড ব্যবহার করেই কেনা হয়েছে দামি দামি জিনিস। হঠাৎ ব্যাঙ্ক থেকে চিঠি আসাতেই হতচকিত হয়ে পড়েন তিনি। পরে বুঝতে পারেন, বড়সড় প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন লোকের আধার ও ভোটার কার্ড ব্যবহার করে মাসিক ইএমআই স্কিমে বাইক থেকে শুরু করে এসি সহ নানা জিনিস কিনত ওই প্রতারক দলের সদস্যরা। এরপর সেইসব জিনিস ওএলএক্স-এর মাধ্যমে বিক্রি করে দিত তাঁরা। পরবর্তীতে, দু একটি কিস্তি দিলেও পরে সেটি দিত না এই প্রতারণা চক্রের সদস্যরা। তারপর থেকে প্রতিমাসে ইএমআই ঠিকমতো না মেলায় যাঁর আধার কার্ড ব্যবহার করে জিনিস কেনা হয়েছিল তাঁর কাছে ব্যাঙ্কের চিঠি আসতো।

সুজিত দাসের কাছেও এরকমই একটি চিঠি আসে। মোটা অঙ্কের টাকা দেনা হয়ে যাওয়ায় রীতিমতো আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। এরপরই, বিষয়টি জানিয়ে অশোকনগর থানার দ্বারস্থ হন সুজিত দাস। তদন্তে নেমে পুলিশ এক দম্পতি সহ আরও এক ব্যক্তিকে অশোকনগর থেকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় দুটি বাইক ও এসি মেশিন। যার মূল্য প্রায় চার লক্ষ টাকা।

কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, গ্রেফতার নিউ ব্যারাকপুরের দম্পতি
একটি সাংবাদিক সম্মেলনে হাবরার এসডিপিওর প্রসেনজিৎ দাস জানান, এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত কিনা তার জন্য অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বারাসাত আদালতে পাঁচ দিনের পুলিশি রিমান্ড চেয়ে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের তরফ থেকে সাধারণ নাগরিকদের জন্য সচেতনতার বার্তাও দেওয়া হয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version